দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ওয়াগনের ধাক্কায় শ্রমিক মৃত্যু, বিক্ষোভ
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১৮ডিসেম্বরঃ
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় ঠিকা শ্রমিকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো ঠিকা শ্রমিক মহলে। কারখানার ভেতর কর্মরত অবস্থায় সুজিত মণ্ডল
(৪০) নামে ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয় আর তাঁর পরিবারের ক্ষতিপূরনের দাবিতে সকাল থেকে ইডি ওয়ার্কসের সামনে কারখানার সমস্ত ঠিকা শ্রমিকরা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
ঠিকা শ্রমিক নেতা সাহাবুদ্দিন জানান, কারখানার মিল সেকসনের বিলেট মিলে নাইট সিফটের ডিউটি করছিলেন। আনুমানিক ভোর সাড়ে চারটে থেকে পাঁচটা নাগাদ রেক(ওয়াগন) টানতে গেছিলেন। সেই সময় রেক ডিকাপল (একটি রেক থেকে আর একটি রেককে আলাদা করা) করতে গিয়ে একটি রেক রেললাইনে গড়িয়ে যায়। দুটি রেকের মাঝে পড়ে উনি পিষ্ট হয়ে যান। সাথে সাথে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সহকর্মীরা উদ্ধার করে প্ল্যান্ট মেডিক্যালে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অন্যান্য ঠিকাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে খবরটি চাউড় হয়ে যায় পুরো কারখানা জুড়ে। কারখানার বিভিন্ন বিভাগে তখন কর্মরত সমস্ত ঠিকাকর্মীরা এসে ইডি ওয়ার্কসের সামনে একত্রিত হন। তাঁরা মৃত ওই শ্রমিকের পরিবারের একজনের চাকরী কিংবা আর্থিক ক্ষতিপূরনের দাবি জানাতে থাকেন।
অপরদিকে, কারখানার আইএনটিটিইউসি নেতা শ্নেহাশিষ ঘোষ জানান, কারখানায় বর্তমানে নিরাপত্তার অভাবে এই ধরনের দুর্ঘটনা প্রায়শই ঘটছে, যার দরুন কখনও শ্রমিকরা জখম হচ্ছেন আবার কখনও মৃত্যুর মতো দুঃখজনক ঘটনা ঘটছে। আমরা ইডি ওয়ার্কসে শ্রমিকদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছি সাথে মৃত সুজিত মন্ডলের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরনেরও দাবি জানিয়েছি। কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে মৃত শ্রমিকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে তাঁরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।
প্রসঙ্গতঃ মৃত সুজিত মন্ডল বাঁকুড়ার বড়জোড়ার নিত্যানন্দপুরের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর পরিবার স্ত্রী, এক ছেলে(৪) ও এক মেয়ে(৭) রয়েছে।