সিটি সেন্টারে উজ্জাপিত হল বিশ্ব হাস্য দিবস
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১মেঃ
পয়লা মে ছিল বিশ্ব হাস্য দিবস। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের নন কোম্পানি রিক্রিয়েশন ক্লাবের নীরোগ স্বাস্থ্য শিবির এই দিনটি হাসির ব্যায়াম ও প্রাণায়াম এর মধ্যে দিয়ে উদযাপন করল।অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন দুর্গাপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাঞ্চন সিদ্দিকী। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বডি বিল্ডিং ও পাওয়ার লিফটিং চ্যাম্পিয়ন নীলাঞ্জন সাহা সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
উল্লেখ্যঃ হাসির ব্যায়ামের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ মদন কাটারিয়া মুম্বাইতে ১৯৯৫ সালে প্রথম হাসির ব্যায়াম শুরু করেন। এরপর হাসির ব্যায়াম ও তার সঙ্গে প্রাণায়াম জনপ্রিয় হতে থাকে। ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। এরপর এই ব্যায়াম এর উপকারিতা উপলব্ধি করতে পেরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন লাফিং ক্লাব। এরপর ডঃ মদন কাটারিয়া ১৯৯৮ সালের ১১ জানুয়ারি প্রথম বিশ্ব হাস্য দিবস পালন করেন। এরপর প্রতি বছর মে মাসের প্রথম রবিবার বিশ্ব হাস্য দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমানে বিশ্বের ১০৫ টিরও বেশি দেশে নিয়মিত হাস্য ব্যায়াম করে হাজার হাজার ক্লাবের সদস্যরা। হাসি রক্তচাপ কমায়। স্ট্রেস হরমোন কমিয়ে দিয়ে মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। হাসিতে ফুসফুস ও শ্বাসনালী পরিষ্কার থাকে এর ফলে শ্বাসক্রিয়াকে উন্নত করে এবং ফুসফুসকে সক্রিয় রাখে পেটের পেশিকে শক্তিশালী করে ফলে পেটে মেদ জমে না ও পেটের অভ্যন্তরীণ সমস্যা দূর হয়।শরীরে এনড্রোফিন এর মাত্রা বাড়ায় যা পেন কিলার এর কাজ করে। শরীরের রক্ত চলাচল বাড়ে।মানসিক চাপ দূর করে মহিলাদের ঋতুচক্রের সমস্যা দুর করে।ইউট্রস সরে যাবার সমস্যা দূর করে। উচ্চ রক্তচাপ, ডাযাবেটিস , হার্ট, স্পন্ডেলাইটিস, থাইরয়েড ও টনসিলের সমস্যা, হাঁপানি, হার্নিয়া ইত্যাদি রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
সিটি সেন্টারের নন কোম্পানি রিক্রিয়েশন ক্লাবের নীরোগ স্বাস্থ্য শিবিরে প্রশিক্ষক প্রণয় রায় বিগত কুড়ি বছর ধরে হাসির ব্যায়াম ও বিভিন্ন প্রাণায়ামের মাধ্যমে প্রতিদিন ভোর ৬ টা থেকে হাসির ব্যায়াম , যোগ ও প্রাণায়াম এর প্রশিক্ষণ দেন। প্রণয়বাবু ১৯৯৭ সালে কলকাতার শ্রদ্ধানন্দ পার্কে একটি লাফিং ক্লাব থেকে হাসির ব্যায়াম এবং এরপর পতঞ্জলি যোগ সেন্টার, হরিদ্বার, ও কলকাতার ইস্ট ইন্ডিয়া যোগ সেন্টার থেকে ও পতঞ্জলি যোগ সেন্টার, হরিদ্বার থেকে যোগ, প্রাণায়াম ও ফিজিওথেরাপি এর প্রশিক্ষণ নেন।
বর্তমানে সিটি সেন্টারের নন কোম্পানি রিক্রিয়েশন ক্লাবে প্রশিক্ষক শ্রী প্রণয় রায়ের তত্বাবধানে প্রতিদিন ভোর ছটায় মহিলা ও পুরুষদের জন্য এই শিবির পরিচালিত হয়।