চাষীকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে ছিলেন খোদ যমরাজ, তাই পুজো হয় মৃত্যুর দেবতার
আমার কথা, লাউদোহা, ১৫ জানুয়ারী:
বছরভর বিভিন্ন সময়ে হিন্দু দেব-দেবীর পূজোর আয়োজন হয়। কিন্তু স্বয়ং মৃত্যুর দেবতা যমরাজের পুজো সচারচর দেখা যায় না। দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের ঝাঁঝরা গ্রামে প্রাচীনকাল থেকেই এই পুজোর আয়োজন হয়ে আসছে।
দুর্গাপুর ফরিদপুর (লাউদোহা) ব্লকের ঝাঁঝরা গ্রামে বুধবার ঘটা করে হল মৃত্যুর দেবতা যমরাজের পুজোর আয়োজন। প্রতিবছর ১লা মাঘ, এক্ষ্যেনের দিন নিয়ম মেনে পুজোটি হয়। গ্রামের শেষ প্রান্তে রয়েছে যমরাজের মন্দির। প্রবীণ বাসিন্দারা জানান আগে মাঠের মধ্যেই পুজো হতো। মন্দির ছিল না। সাম্প্রতিক কালে গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় সেখানে একটি মন্দির নির্মাণ হয়েছে। পুজো ছাড়াও সেখানে নরনারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়। গ্রামের সবাই এই পুজোতে যোগ দেয়। যমরাজের পুজোর সাথে জড়িয়ে আছে অলৌকিক ঘটনার লোককথা। সেই ঘটনাকে সত্যি বলে মানে গ্রামের লোকজন। কি সেই লোক কথা ? প্রবীন বাসিন্দা রাকেশ পাল জানান গ্রামে ঠিক কত বছর আগে যমরাজের পুজোর সূচনা হয়েছে তা জানা নেই। তবে পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে এই পুজোর কথা শুনেছি। তাই পুজোটি বহু প্রাচীন বলে দাবি করেন তিনি। বলেন অতীতে কোন এক সময় গ্রামের এক চাষী মাঠে গরু চড়াচ্ছিল। দুর্যোগের দিন ছিল সেটি। ঝড়-বৃষ্টির সাথে হচ্ছিল ভয়ঙ্কর বজ্রপাত। ওই চাষী একটি গাছের তলে আশ্রয় নিয়েছিলেন । অদৃশ্য কেউ ওই চাষীকে সেখান থেকে টেনে অন্য জায়গায় নিয়ে যাই পাশে। পরক্ষণেই গাছটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়ে। চাষী বেঁচে যান। অদৃশ্য ব্যক্তি স্বয়ং যমরাজ ছিলেন যার কৃপায় চাষী বেঁচে যান বলে গ্রামবাসীদের বিশ্বাস। সেই বিশ্বাসে ভর করেই তারপর ঘটনাস্থলে শুরু হয় যমরাজের পুজো। জয় এখনো হয়ে আসছে ধারাবাহিকভাবে।