দুর্গাপুর থেকে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ যুবক, নেপথ্যে অবৈধ সম্পর্ক?
আমার কথা, দুর্গাপুর, ২৩ জুন:
একটি দু বছরের শিশুর অপহরণের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও এক যুবকের নিখোঁজের ঘটনায় ফের চাঞ্চল্য ছড়ালো দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর বি-জোন ফাঁড়ি এলাকায়। শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ইস্পারপল্লীর বাসিন্দা সমীর পন্ডিত(২৭)। দুদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এখনো সন্ধান মেলেনি ওই যুবকের। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় থানায় এসে।
দুর্গাপুরের ইস্পাতপল্লীতে দাদু দিদিমার সাথে থাকে সমীর। এলাকায় ভালো ভলিবল খেলোয়াড় হিসেবে নাম ডাক রয়েছে সমীরের। সমীরের পিসি গায়েত্রী দেবী জানান, শুক্রবার বিকেল ৫টা নাগাদ সেপকোর বাসিন্দা শিবনাথ শাসমল যিনি সেনাবাহীনিতে কর্মরত, সাথে অপর এক যুবককে সাথে নিয়ে সমীরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় নিজের বাড়িতে। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি সমীর। বারংবার সমীরকে ফোন করলে ফোন বেজে যায় কিন্তু সমীর ফোন না তোলায় উদ্বেগ বাড়তে থাকতে পরিবারে। বি-জোন ফাঁড়িতে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন সমীরের দাদু কপিল পন্ডিত। কিন্তু এখনো পর্যন্ত্য খোঁজ মেলেনি সমীরের। পুলিশ তদন্ত শুরু করে। থানায় ডেকে পাঠানো হয় শিবনাথ, শিবনাথের স্ত্রীও অপর ওই যুবককে। শিবনাথের কাছ থেকে উদ্ধার হয় সমীরের ফোন। শিবনাথ পুলিশের কাছে জানায় রাতে সমীয় শিবনাথের বাড়ি থেকে চলে যায়। এরপর কি হয়েছে তা জানা নেই শিবনাথের। তপবে প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে। তিনদিন ধরে সমীর নিখোঁজ, শিবনাথের কাছ থেকে সমীরের ফোন উদ্ধার হয়েছে। তারপরেও কেন শিবনাথকে আটক করা পুলিশ।
সুত্র মারফত জানা গিয়েছে, শিবনাথ ও সমীর দুজন খুব ভালো বন্ধু। সেই সুত্রে শিবনাথের বাড়িতে নিত্য যাতায়াত ছিল সমীরের। এরই মধ্যে শিবনাথের স্ত্রীর সাথে প্রনয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সমীর। তা নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে একাধিক বার অশান্তিও হয়। অশান্তি ডিভোর্স পর্যন্ত্য গড়ায়। তবে শেষ পর্যন্ত্য ডিভোর্স হয় না। শুক্রবার বিকেলে সমীরকে বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে শিবনাথ ও । স্ত্রীর সাথে সমীরের সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে বোঝানোর পর গাড়িতে করে সুমন ভুঁইয়া নামে এক যুবক রাত ১টা নাগাদ সমীরের বাড়ির কাছে ছেড়ে দিয়ে আসলেও ঘরে ফেরেনি সমীর। এদিকে সমীর তাঁর নিজের মোবাইল ফোনটি শিবনাথের বাড়িতে ফেলে গেছে বলে জানিয়েছেন শিবনাথ। এদিকে রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ সমীরের ফোনে একটি মেসেজ ঢোকে। ্মেসেজে লেখা ছিল সমীরের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে কোনো একটি এটিএমের মাধ্যমে। এখন পুলিস সেই সুত্র ধরে তদন্ত চালাচ্ছে। এছাড়াও জানা গিয়েছে বাজারে সমীরের অনেক ঋণ রয়েছে। এদিকে ঘটনার পর কেটে গেছে দুদিন। ক্রমশঃ রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে সমীরের নিখোঁজের ঘটনায়। এখন প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি এই সব কারনের জন্য গা ঢাকা দিয়েছে সমীর, নাকি আরো অন্য কোনো রহস্য রয়েছে সমীরের নিখোঁজের পেছনে।