পুলিশের উপর হামলা কান্ডে গ্রেফার ১৭, এলাকা থমথমে চলছে পুলিশি টহল

আমার কথা, পান্ডবেস্বর, ২৮ মার্চঃ
বুধবার কুমারডিহি গ্রামে এক যুবকের রহস্য মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকা হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র। জনতার ছোড়া ইটের আঘাতে জখম হন ৪ পুলিশ কর্মী। গ্রেপ্তার হয় ১৭ জন। বৃহস্পতিবার এলাকা রয়েছে থমথমে। চলছে পুলিশি টহল।
বুধবার ভোরবেলায় কুমারডিহি গ্রামের রুইদাস পাড়ায় সঞ্জয় রুইদাসের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় পাশের বাউরি পাড়ার যুবক পল্লব বাউড়ির মৃতদেহ। সঞ্জয়ের স্ত্রীর সাথে পল্লবের অবৈধ সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ। রাতে চুপিসারে পল্লব সঞ্জয়ের স্ত্রীর সাথে দেখা করতে তাদের ঘরে এলে বিষয়টি বাড়ির লোকের নজরে পড়ে। পল্লবকে আটক করে রাখা হয়। পরে সেই রুম থেকেই সঞ্জয়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাই। বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি চাউল হতে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মৃত পল্লবের বাড়ি ও পাড়ার লোকজন সঞ্জয়ের বাড়িতে চড়াও হয়। পুলিশ বাধা দিতে গেলে পুলিশের সাথে তাদের খণ্ডযুদ্ধ বেধে যাই। জনতার ছড়া ইটে আহত হন ডিসিপি পূর্ব অভিষেক গুপ্তা সহ চার পুলিশ কর্মী। পুলিশও পাল্টা লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ । পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুরু হয় ধরপাকড়। অভিযুক্ত সঞ্জয় ও সীমা রুইদাসের পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয় ১৭ জনকে। পুলিশ জানাই সঞ্জয় ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। বাকি ১৫ জনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, হামলার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের পেশ করা হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধৃতদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পর শুক্রবার সকালে এলাকায় গিয়ে দেখা যায় চারদিক থমথমে। রাস্তাঘাট ফাঁকা। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন পাড়াতে পুলিশকে টহল দিতেও দেখা যায়। থানার এক আধিকারিক বলেন নতুন করে অশান্তি হয়নি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।