উত্তরাখন্ডে আটকে শিশু মহিলা সহ দুর্গাপুর ও পানাগড়ের ২৮ পর্যটক, বাড়ি ফেরার কাতর আর্জি সরকারের কাছে

আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ২৯এপ্রিলঃ
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে সাথে ভারতে যখন করোনা আক্রমণ করে তখন করোনা মোকাবিলায় আচমকাই এই রাজ্য সহ সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করে রাজ্য তথা কেন্দ্র সরকার। আর এই আচমকা লকডাউনের কারনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বহু মানুষ সেদিন থেকেই আটকে পড়েছেন যারা ঘরে ফিরতে পারছেন না। এরকমই ২৮ জনের একটি দল যারা দুর্গাপুর ও পানাগড়ের বাসিন্দা তাঁরা আটকে পড়েছেন উত্তরাখন্ডের কৌশানিতে। অসহায় অবস্থায় ওই দলে পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের এখন এই রাজ্যের সরকারের কাছে একটাই আবেদন যে কোনো শর্তে তাদের যেন বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়।
দুর্গাপুর ও পানাগড়ের বাসিন্দা মহিলা, পুরুষ ও শিশু মিলিয়ে ২৮জনের একটি দল মার্চের ১৫ তারিখে উত্তরাখন্ড ভ্রমণের উদ্দ্যেশ্যে রওনা দেন। উত্তরাখন্ডের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ওই দলটি ২০ মার্চ কৌশানি পৌঁছোয়। ২৩ মার্চ ওই পর্যটক দলটির বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেনের টিকিট কাটা ছিল। কিন্তু এরপরেই ২৩মার্চ রাজ্য সরকার ও ২৫ মার্চ থেকে কেন্দ্র সরকার আচমকাই লকডাউন ঘোষণা করে দেয়। আর এই লকডাউনের জেরে একদিকে যেমন সমস্ত ট্রেন চলাচল বাতিল হওয়ায় তাদের ট্রেনের টিকিটও বাতিল হয়ে যায়, তেমনই লকডাউনের কারনে কৌশানিতেই আটকে পড়ে ওই পর্যটক দলটি।
ওই দলের এক পর্যটক পানাগড়ের বাসিন্দা অভিযজিত মজুমদারও তাঁর পরিবার নিয়ে ওই দলটির সাথে উত্তরাখন্ড বেড়াতে গিয়ে কৌশানিতে আটকে পড়েছেন। অভিজিৎবাবু জানান যে, তাঁরা যেখানে আছেন সেখানে উত্তরখান্ড সরকার থেকে তাদের খাওয়া দাওয়ার ব্যবসাথ করলেও সেটা কতদিন করবে তা নিয়ে এক অনিশ্চয়তার মধ্যে প্রতিতা মুহূর্ত কাটছে তাদের। শুধু তাই নয় ওই দলটিতে যেমন বেশ কয়েকজন বয়স্ক মানুষ রয়েছে তেমনই রয়েছেন বেশ কয়েকজন অসুস্থ মানুষ। বিশেষ করে দু একজন রয়েছে যাদের হার্টের সমস্য রয়েছে। প্রতিদিন নিয়ম করে তাদের ওষুধ খেতে হয়। কিন্তু সেই ওষুধ কৌশানিতে ঠিক মতো পাওয়া যাচ্ছে না ফলে দিন দিন তারা আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এদিকে সাথে যেটুকু অর্থ সম্বল ছিল তাও ফুরিয়ে আসছে। এমতবস্থায় তাঁরা রাজ্য সরকারের লাছে কাতর আবেদন জানাচ্ছেন যে তাদের যেভাবেই হোক বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার যদি ব্যবস্থা করেন তাহলে তাঁরা উপকৃত হবেন। আর তাঁর জন্য বাড়ি ফিরে সরকার থেকে যা যা নিয়ম মেনে চলতে বলবে সেই সমস্ত শর্ত মানতেও তাঁরা রাজী।