রানীগঞ্জে অবৈধভাবে কয়লা চুরি করতে গিয়ে ৩ জনের মৃত্যু, রাজনৈতিক চাপানউতোর
আমার কথা, রানীগঞ্জ, ১২ অক্টোবর:
রানীগঞ্জের নারায়ণকুড়ি অঞ্চলের খোলামুখ খনির র্যাট হোলে অবৈধ ভাবে কয়লা খনন করতে গিয়ে চাল ধসে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে দাবি বিরোধী দলের বিধায়কর। এই দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে রানীগঞ্জ থানাতে পৌঁছে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তিনি বলেন রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর মত এখানকার পুলিশও মিথ্যে কথা বলছে। চাল ধসে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। অথচ পুলিশ দাবি করছে তিনজনের। কারন তারা এখনো পর্যন্ত তিনজনের দেহ উদ্ধার করেছে। পুলিশ সব জেনেও স্থানীয়দের কয়লা চুরি করতে দিয়েছে। তাই এই ঘটনার দায় পুলিশকে নিতেই হবে। সাতজন মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে দাবি করেন অগ্নিমিত্রা । একই সাথে তিনি ইসিএলের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি লিখবেন।অন্যদিকে ইসিএলের ডিজিএমএস ইরফান আহমেদ আনসারি ঘটনাস্থলে পৌঁছে বলেন, তিনি এলাকা পরিদর্শন করেছেন।ঘটনার পুর্নাঙ্গ তদন্ত হবে।অন্যদিকে রানিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক তাপস ব্যানার্জি বলেন, এই মর্মান্তিক দুঘর্টনাটির পিছনে রয়েছে ইসিএলের খামখেয়ালিপনা ও কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতা। প্রথমত ইসিএল যে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে কয়লা উত্তোলন করছে, তারাই মাফিয়াদের সাথে হাত মিলিয়ে নিজেদের ব্যবসা করছে। স্থানীয় মানুষের জীবন সুরক্ষার বিষয়ে তাদের কোনো দৃষ্টি নেই। পাশাপাশি কেন্দ্র সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া বন্ধ করায় স্থানীয় গরীব মানুষেরা কয়লা চুরিতেই উৎসাহ বোধ করেছে। বিগত দুই বছর ধরে এই মানুষগুলি একশ দিনের কাজের মাধ্যমে জীবিকা অর্জন করতো। কিন্তু তা বন্ধ হওয়ায় গরীব মানুষেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কয়লা চুরি করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছে। তাই কেন্দ্র সরকারের উচিৎ অবিলম্বে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া প্রদান করা।