লকডাউন পরিস্থিতে ফি’জ নিয়ে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ আসানসোলের বেসরকারী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের বিরুদ্ধে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ২৭এপ্রিলঃ
রাজ্য তথা দেশে লকডাউনের কারনে বন্ধ বেসরকারী অফিস থেকে শুরু করে স্কুল কলেজ সমস্ত কিছু। রোজগার বন্ধ অনেকেরই। সেই কারনে দেশবাসীদের কথা ভেবে দেশের প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে আবেদন রাখেছেন যেন ফিজের ক্ষেত্রে বা সেই ফিজ জমা দেওয়ার সময়সীমার ক্ষেত্রে শিথিলতা দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারের এই আবেদনে কোনোরকম সাড়া না দেওয়ার অভিযোগ উঠল আসানসোলের একটি বেসরকারী ইংরেজী মাধ্যম স্কুলের বিরুদ্ধে। ওই স্কুলের অভিভাবকদের অভিযোগ যে, ওই স্কুলের হোম স্টুডেন্ট যারা রয়েছে তাদের মধ্যে দশম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য চলতি মাসের ১৬তারিখে অনলাইনে একটি নোটিশ ধরানো হয় যে, চলতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে ভর্তির প্রথম কিস্তির টাকা মিটিয়ে দিতে হবে। আর নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তা না হলে ওই আসনটি অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয় তাদের আরো অভিযোগ যে লকডাউনে যেখানে সকলেরই কাজকর্ম বন্ধ, রোজগার সেভাব নেই, সেক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষ গত বছরের তুলনায় এ বছর স্কুল ফিজ প্রায় ২০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে।
দশম শ্রেণীর এক ছাত্রের অভিভাবক কমল দেবনাথ জানান যে, “যেখানে সরকার থেকে স্কুলের ফিজের ব্যাপারে কড়াকড়ি না করার আবেদন জানিয়েছে। জীবনবীমা কিংবা ব্যাংকের সুদ দেওয়ার ক্ষেত্রেও তারা শিথিলতা দিয়েছে, সেখানে এই স্কুল যেভাবে আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে তাতে আমরা ভয়ানক বিপদের মধ্যে পড়ে যাবো। কারন আমি একটি বেসরকারী সংস্থায় কাজ করি। এখন আমাদের অফিস বন্ধ, মাইনেও ঠিক মতো পাচ্ছি না। এক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষের এহেন সিদ্ধান্তে আমি খুব অসহায় বোধ করছি। কারন আমার ছেলে শুরু থেকেই এই স্কুলে পড়ছে আর দশম থেকে একাদশ শ্রেণীতে পড়ার জন্য আমি অন্য কোনো স্কুলে চেষ্টাও করিনি। তাই যদি কর্তৃপক্ষ আসনটি অন্য কাউকে দিয়ে দেয় তাহলে ছেলেকে নিয়ে আমি খুবই বিপদে পড়ে যাবো।”
এ বিষয়ে আজ সোমবার ওই স্কুলের অভিভাবকরা পশ্চিম বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসকের সাথে দেখা করে তারা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অন্যদিকে, এই বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজী হননি।