অভিনব কায়দায় গাঁজা পাচার করতে গিয়ে দুর্গাপুরে এস.টি.এফের জালে ৬
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১৮ মেঃ
অভিনব উপায়ে বিপুল পরিমানে গাঁজা পাচারের চেষ্টা চালালেও শেষ রক্ষা হল না। গাঁজা সহ পাচারকারীরা এস.টি.এফ এর এক বিশেষ টিমের জালে ধরা পড়ে ঠাঁই হল শ্রীঘরে।
জানা গিয়েছে, ওড়িশার নাম্বার প্লেট লাগানো একটি ট্রাকে করে গাঁজা পাচার হচ্ছে তার খবর গোপন সুত্রে এস.টি.এফের কাছে পৌঁছোয়। দুর্গাপুর ব্যারেজ সংলগ্ন শ্যামপুরের কাছে ট্রাকটিকে আটকায় এস.টি.এফের ওই বিশেষ দলটি। এবার ট্রাকের পেছনে ডালা নামিয়ে দেখা যায় লোহার কিছু ব্লক যেগুলো প্লট করে সুন্দর করে থরে থরে সাজানো রয়েছে যার মধ্যে সাদা বস্তা রাখা রয়েছে। প্লটগুলির উপর আবার কাঠের পাটা চাপা দেওয়া রয়েছে। এগুলি দেখে প্রথমে তদন্তকারী ওই দলটি হকচকিয়ে যায়। ভাবেন তাহলে কি পাওয়া তথ্যে কোনো ভুল ছিল। কিন্তু এখানে থেমে না গিয়ে তদন্তকারী আধিকারিকরা বস্তাগুলি খুলে ফেলেন আর তারপরেই চক্ষু চড়কগাছ। বস্তাগুলির ভিতর রয়েছে গাঁজা। ২২টি বস্তায় মোট ৩৫০ কেজি গাঁজা পাওয়া যায় বলে এস.টি.এফ সুত্রে জানা গিয়েছে। এরপরেই ওই গাঁজাগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়, সাথে গ্রেফতার করা হয় ৬ জনকে।
জানা গিয়েছে, ওড়িশার জলেশ্বর থেকে ট্রাকটি নবদ্বীপ যাচ্ছিল। বাজেয়াপ্ত হওয়া গাঁজার বাজার মূল্য প্রায় আট লক্ষ টাকা। ধৃতরা হল শেখ বাসির, আনন্দ, ঝণ্টু, সঞ্জয়, কার্তিক, দেবজ্যোতি। এদের মধ্যে শেখ বাসির পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটের বাসিন্দা, বাকি অভিযুক্তরা সবাই নবদ্বীপের বাসিন্দা। ওড়িশা থেকে বর্ধমান হয়ে নবদ্বীপে যাচ্ছিল ট্রাকটি।