রূপনারায়ণপুরে বৃদ্ধার রহস্যময় মৃত্যু, দু’বছর পর গ্রেফতার অভিযুক্ত
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(আসানসোল), ২৮মেঃ
রূপনারায়ণপুরের দুই বছর আগে শেফালি রায় নামক ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধার রহস্যময় মৃত্যুর ঘটনায় রূপনারায়নপুর ফাঁড়ির পুলিশের হাতে ধরা পড়লো এক যুবক। ধৃত ওই যুবকের নাম করন দাস(৩৫) বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। এই ঘটনার জন্য গতকালেই রূপনারায়নপুরের পশ্চিম রাঙ্গামাটির হরিজন বস্তি থেকে অভিযুক্ত করন দাসকে রূপনারায়ানপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ রাহুলদেব মণ্ডল গ্রেপ্তার করেন। অভিযুক্ত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পুলিশ জানতে পারে করন দাস ওই বৃদ্ধার বাড়িতে কাজ করতো এবং সে রাগের বসে গলা টিপে হত্যা করেছে বৃদ্ধাকে।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় যে স রূপনারায়ণপুরের সবজি বাজারের বিডিও অফিস রোডের উপর একতলা বড়ো বাড়ি বসু নিকেতন।সেখানে একাই থাকতেন বৃদ্ধা শেফালি রায়।হঠাৎ করে ২০২০ সালের ২০ মার্চ সকাল ১১টা নাগাদ জানা যায় তিনি মৃত অবস্থায় বাড়ির ভেতরে পড়ে আছেন। রাঁচিতে থাকা পেশায় উকিল মৃত বৃদ্ধার ভাই শংকর চন্দ্র রায় পুলিশের কাছে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করেন। মৃত্যুর কিনারা করার জন্য তদন্ত ভার দেওয়া হয় রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির সাব-ইন্সপেক্টর শোভন সাহার হাতে। কিন্তু প্রাথমিক তদন্ত ছাড়া তিনি বিষয়টির বিশেষ অগ্রগতি ঘটাতে পারেননি। রূপনারায়নপুর থেকে তাকে বদলিও হতে হয়। তারপরেই এই মৃত্যু তদন্তের ভার পান রূপনারায়নপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ রাহুল দেব মন্ডল। প্রথমেই তিনি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে জানতে পারেন ওই বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে মারা হয়েছিলো।তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায় যে ওই বাড়িতে কর্মরত করন দাস বৃদ্ধার মৃত্যুর পর থেকে এলাকা থেকে পলাতক। যদিও এই মৃত্যু নিয়ে বিশেষ কোনো আলোড়ন না ওঠায় করন দাস আবার ফিরে এসে পশ্চিম রাঙ্গামাটির হরিজন বস্তিতে থাকতে শুরু করে। পুলিশ গতকাল তাকে গ্রেপ্তার করে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর করন স্বীকার করে রাগের বসে তিনি শেফালী রায়ের গলা টিপে খুন করেছে। আজ শনিবার অভিযুক্ত করন দাসকে পুলিশ আসানসোল আদালতে তোলা হয়।