প্রেমের জের? দুর্গাপুরে আত্মঘাতী ছাত্র
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১৬জুনঃ
মাত্র উনিশ বছরের এক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে সাগর গড়াই নামে ওই যুবক বলে পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের পরানগঞ্জ গ্রামে। এই ঘটনার পেছনে প্রেমের কোনো সম্পর্ক রয়েছে আর সেই সম্পর্কের টানাপোড়েনেই সম্ভবতঃ সাগর আত্মঘাতী হয়েছে বলে সাগরের পরিবারের অনুমান।
সাগরের কাকা শঙ্কর গড়াই জানান, সাগর মলানদিঘির একটি বেসরকারী ইনস্টিটিউট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশুনা করছিল। এদিকে টিউশন নেওয়ার জন্য কলকাতায় বসবাস করছিল শেষ কয়েক মাস ধরে। সেই সময় কলকাতার বারুইপুরের একটি মেয়ের সাথে সাগরের পরিচয় হয় যে কিনা সাগরের সমবয়সী এবং সেও পড়াশুনা করছে। এরপর ওই ছাত্রীর সাথে সাগরের প্রণয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়।
এদিকে, গতকাল অর্থাৎ বুধবার সাগরের পরিবারের সদস্যরা রানীগঞ্জে এক আত্মীয়ের বারি নিমত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছিলেন। একমাত্র সাগরের ঠাকুরমা বাড়িতে ছিলেন। বিকেলে সাগরের ঠাকুরমা যখন চা নিয়ে সাগরের ঘরের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করতে থাকেন তখন সাগরের কোনো সাড়া মেলেনি। এরপরেই তিনি সাগরের ঘরে ঢুকে দেখেন সিলিং ফ্যান থেকে সাগরের দেহ ঝুলছে।
সাগরের কাকার অভিযোগ কলকাতার ওই ছাত্রীর সাথে সাগরের সম্পর্কে নিশ্চয়ই অবনতি ঘটেছিল আর তার থেকেই মানসিক অবসাদের জেরে সাগর আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। সাগরের পরিবার থেকে এও জানানো হয়েছে যে, ঘপ্টনার আগের মুহূর্তে সাগরের মোবাইল ফোন থেকে একটি ছবি ওই মেয়েটিকে পাঠানো হয়েছে যেখানে সাগর আত্মহত্যা করতে চলেছে বলে জানিয়েছেছিল। কিন্তু তারপরেও ওই মেয়েটির তরফে কোনো উত্তর আসেনি।
সাগরের আত্মহত্যার ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গড়াই পরিবারে। যদিও শেষ পাওয়া খবরে পুলিশের কাছে গড়াই পরিবারের তরফে কোনো লিখিত অভিযোগ জানানো হয়নি, তবে তাঁরা বিষয়টি নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে। ঘটনার পরে সাগরকে তার পরিবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়, কিন্তু সেখানে চিকিৎসক সাগরকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর হাসপাতাল থেকে নিউটাউনশিপ থানায় বিষয়টি জানালে থানা থেকে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর কেস ঋজু করে।