“রুদ্রনীলের ক্ষমা চাওয়া উচিত”-দুর্গাপুরে সোচ্চার রাজন্যা
আমার কথা, দুর্গাপুর, ৬ আগস্ট:
কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল কংগ্রেস আজ এক বিরাট জনসভার আয়োজন করে দুর্গাপুরের সগড়ভাঙ্গায়। এদিনের সভামঞ্চে তিন মন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও, কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন এই মুহূর্তের সব থেকে বড় রাজনৈতিক আকর্ষণ রাজন্যা হালদার। রাজন্যাকে নিয়ে বিজেপি তারকা নেতা রুদ্রনীল ঘোষের বিতর্কিত মন্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের রাজন্যা বলেন রুদ্রনীলবাবুর এই মন্তব্য শুধু ব্যাক্তি রাজন্যাকে নয়, এটা আপামোর নারী এমনকি মায়েদেরকে অপমান করা। তার উচিত এই বিষয়ে ক্ষমা চাওয়া।
প্রসঙ্গত: তৃণমূল যুবনেত্রী রাজন্যা হালদার সোনারপুর থানায় অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন। রাজন্যা কে সেটা আর এখন বলার অপেক্ষা রাখে না। ২১ জুলাইয়ের পর থেকে তিনি মোটামুটি প্রচারের আলোয় চলে এসেছেন তাঁর বক্তব্যের জোরে। তিনি বর্তমানে ডায়মন্ড হারবার যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার যুব সহ সভাপতি। ২১ জুলাই তিনি শহিদ মঞ্চে দাঁড়িয়ে যে বক্তব্য রাখেন তাতেই উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। মুহূর্তে ভাইরাল হন যুবতী। তারপরই তাঁকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বসেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।
অভিনেতা তাঁর দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘রাজন্যা বোনের বাড়িতেও অর্পিতার মতো ৫০ কোটি ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্য তৃণমূলের নেতারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করছেন। এমনই এমনই তো আর ওই মঞ্চে ওঠা যায় না, তার জন্য যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হয়। তাই আমি রাজন্যা বোনকে বলছি আপনার মধ্যে সম্ভাবনা আছে। খুব সাবধানে থাকবেন। আপনার ঘরে কতটা জায়গা আছে ওরা না জানলে টাকা ঢোকাতে পারবে না।’ এই বেঁফাস মন্তব্যকে ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
উল্লেখ্য এদিনের সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রী মলয় ঘটক, প্রদীপ মজুমকদার, স্নেহাশিষ চক্রবর্তী। এছাড়াও ছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়, অভিজিৎ ঘটক ও নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।