খনি অঞ্চলে তিনটি ব্লকে ১৪ টি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করলো তৃণমূল
আমার কথা,১০ আগস্ট:
খনি অঞ্চলের তিনটি ব্লকের ১৪-টি গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল তৃণমূল। বাকি ৮টি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হবে আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার। বোর্ড গঠন ঘিরে কোথাও অশান্তি হয়নি বলে দাবি প্রশাসনের।
বৃহস্পতিবার খনি অঞ্চলের অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর ও দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের চৌদ্দটি গ্রাম পঞ্চায়েতে সম্পূর্ণ হল বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। এর মধ্যে অন্ডাল ও দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের চারটি করে ও পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের ছ’টি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হয় এদিন। বেলা ১১-টায় বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে থেকেই পঞ্চায়েত অফিস গুলির বাইরে ছিল তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বড় জমায়েত। বোর্ড গঠন ঘিরে যাতে কোন অশান্তি না হয় সেই জন্য সকাল থেকেই পঞ্চায়েত অফিস গুলির সামনে ছিল পুলিশ মোতায়েন। পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের বৈদ্যনাথপুর কেন্দ্রা, বহুলা, ছোড়া, হরিপুর ও নবগ্রাম এবং দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের গোগলা, গৌড়বাজার, প্রতাপপুর ও জেমুয়া পঞ্চায়েত সব কটিতেই বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। দুটি ব্লকের আটটি পঞ্চায়েতে প্রধান উপপ্রধান নির্বাচিত হন সর্বসম্মতিক্রমে। কোথাও কোনো ভোটাভুটির প্রয়োজন হয়নি।
একই দিনে বোর্ড গঠন হয় অন্ডাল ব্লকের অন্ডাল, কাজোড়া, খান্দরা ও উখড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। সবকটি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। অন্ডাল ও কাজোরা গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান, উপ প্রধান নির্বাচিত হন সর্বসম্মতিক্রমে। কিন্তু ছন্দপতন হয় খান্দরা ও উখরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায়। শাসকদলের দ্বন্দ্ব এই দুটি পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে প্রকাশ্যে চলে আসে। উখরা পঞ্চায়েতে প্রধান, উপপ্রধান ও খান্দরা পঞ্চায়েতে উপপ্রধান নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন হয় ভোটাভুটির। উখরা পঞ্চায়েতে প্রধান পদের জন্য ভোটাভুটি হয় নিশিথ সৌমন্ডল ও মিনা কোলের মধ্যে। ২৭ জন সদস্যের মধ্যে ১৫ জনের সমর্থন পেয়ে প্রধান নির্বাচিত হন মিনা কোলে। উপপ্রধান পদের দাবিদার ছিলেন শরণ সাইগল ও রাজু মুখোপাধ্যায়। ১৫ টি ভোট পেয়ে উপপ্রধান হন শরণ বাবু। রাজু মুখোপাধ্যায় পান ১১- টি ভোট। বাতিল হয় একটি ভোট। অন্যদিকে খান্দরা পঞ্চায়েতে অপর্ণা বাদ্যকর সর্বসম্মতিক্রমে প্রধান নির্বাচিত হলেও উপপ্রধান পদে ভোটাভুটি হয় গণেশ বাধ্যকর ও আশিস ভট্টাচার্যের মধ্যে। ১৩টি ভোট পেয়ে উপপ্রধান হন গণেশ বাদ্যকর। আশীষ ভট্টাচার্য পান ১০টি ভোট। খান্দরা পঞ্চায়েতে ২৩ টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের ২০ ও সিপিএমের রয়েছে তিন জন সদস্য। তিন জন সিপিএম সদস্যের ভোটেই গণেশ বাধ্যকর উপপ্রধান নির্বাচিত হন বলে অভিযোগ করেন পরাজিত আশীষবাবু।