দুর্গাপুরে জাতীয় ফার্মাসি সপ্তাহ উদযাপিত
আমার কথা, দুর্গাপুর, ২৬ নভেম্বর:
সংবাদদাতা:- প্রণয় রায়
রোগীদের সুস্থতার জন্য চিকিৎসকদের সাথে সাথে ফার্মাসিস্টরাও অপরিসীম ভূমিকা পালন করে। চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত উন্নতিসাধন হচ্ছে। তাই ফার্মাসিস্টদেরও চিকিৎসকদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। প্রতিবছর নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে রোগীদের উন্নততর চিকিৎসায় ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন সেমিনারের আয়োজন করা হয় ও বিশেষজ্ঞ বক্তারা চিকিৎসা শাস্ত্র বিষয়ে তাদের বক্তব্য রাখেন যাতে ফার্মাসিস্টরা রোগীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে অবহিত হতে পারে।
ইন্ডিয়ান ফার্মাসিউটিক্যাল এসোসিয়েশন, এর বেঙ্গল শাখার এর দুর্গাপুর চ্যাপ্টার
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা হাসপাতালের ফার্মাসি বিভাগে ৬২ তম জাতীয় ফার্মাসী সপ্তাহ পালন করল।প্রতি বছর নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে জাতীয় ফার্মাসী সপ্তাহ পালিত হয়।
এবছরের থিম বা প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল জয়েন
ফার্মাসিস্ট টু এনসিওর পেসেন্ট সেফটি
অর্থাৎ রোগীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ফার্মাসিস্টদের সঙ্গে যোগ দিন।
অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন ডি এস পি হাসপাতালের ডিরেক্টর ইনচার্জ ডক্টর সৌভিক রায়। উপস্থিত ছিলেন ডি এস পি হাসপাতালের জয়েন্ট ডিরেক্টর, ড: অসীম নারায়ণ বোস, আই কিউ সিটি ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সের প্রিন্সিপাল ইনচার্জ ড: শুদ্ধসত্ত্ব দে , ড: বি সি রায় কলেজ অফ ফার্মাসি এন্ড অ্যালায়েড হেলথ সেন্টার সায়েন্স এর প্রফেসর ইনচার্জ ড: শুভব্রত রায়।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের পর স্বাগত ভাষণ দেন ডক্টর সৌভিক রায়। ডাঃ রায় তার সংক্ষিপ্ত ভাষণে জাতীয় ফার্মাসি সপ্তাহের সাফল্য কামনা করেন।।
ডক্টর অসীম বোস বলেন ফার্মাসিস্টরা রোগীদের সঠিকভাবে ওষুধ ব্যবহারে সহায়তা করেন।কারণ চিকিৎসকদের রোগের বিধান দেওয়া ওষুধ যাতে রোগীরা সঠিকভাবে ব্যবহার করে তা একমাত্র ফার্মাসিস্টরাই বুঝিয়ে দিতে পারেন।কারণ চিকিৎসকরা রোগীদের ভীড়ে অনেক সময় ওষুধের ব্যবহার বিধি নিয়ে রোগীদের অবহিত করার সময় পান না।এক্ষেত্রে ফার্মাসিস্টরাই তাদের মুশকিল আসান হন।
দুর্গাপুর শাখার সম্পাদক দেবমাল্য চ্যাটার্জি চিকিৎসকদের সঙ্গে ফার্মাসিস্টদের নিবিড় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন রোগীদের সঠিকভাবে চিকিৎসা বিষয়ে সহায়তা করতে চিকিৎসক ও ফার্মাসিস্টরা একে অপরের পরিপূরক।
অধ্যাপক শুভব্রত রায় বলেন ডাক্তারদের সঙ্গে ফার্মাসিস্টদের নিবিড় সম্পর্কের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ চিকিৎসকরা রোগীকে চিকিৎসার বিধান দেন ও ওষুধ দেন সেখানে ফার্মাসিস্টরা ওষুধের ব্যবহারবিধি সম্পর্কে রোগীদের সঠিকভাবে অবহিত করেন।
ডক্টর শুদ্ধসত্ত দে বলেন জেনেরিক ওষুধ অনেক সস্তা কিন্তু একই ওষুধ নামী ওষুধ কোম্পানীর নামে প্রস্তুত হয়ে দামী ওষুধে পরিগনিত হয় ও সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। তাই জেনেরিক ওষুধ ব্যবহার সম্পর্কে ফার্মাসিস্ট রাই রোগীদের সাহায্য করতে পারেন। তিনি আরও বলেন চিকিৎসকরা রোগের বিধান দেবার পর ওষুধ তৈরী থেকে ওষুধের ব্যবহারবিধি ইত্যাদিতে ফার্মাসিস্টরা রোগীদের চিকিৎসা ও তাদের সুস্থ হওয়ার সঠিক পথনির্দেশ করেন।
সমাপ্তি ভাষণ দেন অনিমেষ গোস্বামী।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র ফার্মাসিস্ট সমীর দাস।