এক ‘জিতেন’ টিকিট না পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত দলেরই আরেক ‘জিতেন’, বিতর্ক
আমার কথা, পান্ডবেশ্বর, ১২ এপ্রিল:
আসানসোল কেন্দ্রে জিতেন তেওয়ারি বিজেপি দলের টিকিট না পাওয়ায় “হলো না-হলো না” গান গেয়ে উল্লাস করছেন দলেরই অন্য এক নেতা। সমাজ মাধ্যমে সেই উল্লাস ভাইরাল হতেই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন জিতেন অনুগামীরা। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেন দলের জেলা সভাপতি।
আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে প্রথমে প্রার্থী হিসাবে বিজেপি দলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল ভোজপুরি গায়ক পবন সিং এর নাম। তিনি প্রার্থী হতে আগ্রহী নন এ কথা জানানোর পর কে হবে প্রার্থী তা নিয়ে দলের মধ্যে শুরু হয়েছিল গুঞ্জন। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় অন্যদের সাথে ছিল জিতেন তেওয়ারির নামও। বুধবার সুরেন্দ্র সিং আহলুওলিয়ার নাম ঘোষণা করা হয় প্রার্থী হিসেবে। এই ঘোষণার পর জিতেন তেওয়ারি টিকিট না পাওয়ায় উল্লাস প্রকাশ করেন দলেরই আরেক নেতা জিতেন চট্টোপাধ্যায় ও তার অনুগামীরা। “হলো না-হলো না”- জনপ্রিয় এই বাংলা গানের সাথে জিতেন চ্যাটার্জী ও তার অনুগামীরা উল্লাস প্রকাশ করছেন এরকম একটি ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়(যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আমার কথা নিউজ)। ভিডিওটি ঘিরে শুরু হয়েছে দলের ভেতর দ্বন্দ্ব। অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ। জিতেন তেওয়ারি টিকিট না পাওয়ায় তাকে কটাক্ষ করেই এই উল্লাস প্রকাশ করা হয়েছে বলে ধারণা জিতেন তেওয়ারির অনুগামীদের। প্রতিবাদে সরব হন জিতেন তেওয়ারির অনুগামী হিসাবে পরিচিত আসানসোল কর্পোরেশনের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গৌরব গুপ্তা, কুলটির প্রাক্তন বিজেপি কাউন্সিলর অভিজিৎ আচার্য সহ অন্যরা। প্রার্থী নির্বাচন করে দল। সুরেন্দ্র সিং আহলুওলিয়াকে দল প্রার্থী করেছে। তাকে নিয়ে একজোট হয়ে দলের সবাই প্রচারে নেমেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রার্থীকে নিয়ে উল্লাসের পরিবর্তে জিতেন তিওয়ারি টিকিট না পাওয়াতে বেশি উচ্ছ্বসিত জিতেন চ্যাটার্জী ও তার অনুগামীরা বলে জানান তারা। অভিজিৎ আচার্য বলেন বিষয়টি জানার পরও দলীয় নেতৃত্ব ও প্রার্থী নীরব রয়েছেন। দলীয় নেতৃত্বের কাছে এই বিষয়ে জিতেন চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তারা।
যার ভিডিও ভাইরাল নিয়ে বিতর্ক, সেই জিতেন চ্যাটার্জী (দলের সমাজ মাধ্যমের জেলা কনভেনার) বলেন “আমি কি গান শুনবো, কি গানে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করব সেটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি কাউকে উদ্দেশ্য করে কিছু করিনি”। পাশাপাশি তিনি বলেন “আমি দলের পুরনো কর্মী। যারা গানের মানে না বুঝে আমার বিরুদ্ধে বলছে তারা দুদিন আগে অন্য দল থেকে বিজেপিতে এসেছে, তাই তাদের কথার কোন গুরুত্ব নেই বলে জানান জিতেন বাবু।
বিজেপি দলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন সোশ্যাল মিডিয়ায় যে পোস্ট হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা হবে কেউ অন্যকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করলে দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।