দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত, এরপরেও সামাজিক দুরত্ব ভেঙে উপচে পড়ছে ভিড়
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ৮জুলাইঃ
দুর্গাপুরে বিধাননগরে বেসরকারী হাসপাতালের পর এবার খোদ সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হলেন হাসপাতালে। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসক করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার তাঁকে কলকাতায় বেলেঘাটা আইডিতে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ইন্দ্রজিৎ মাজি জানান যে, আপাতত পরিষেবা বন্ধ রেখে হাসপাতাল জীবানুমুক্ত করা হয়েছে। হাসপাতালের যে যে জায়গায় ওই চিকিৎসক বসেছিলেন সেই সমস্ত জায়গাগুলিও বন্ধ রাখা হয়েছে। গত কয়েকদিনে ওই ডাক্তার যে সমস্ত রোগী দেখেছেন বা যাদের সংষ্পর্ষে এসেছেন তাদের তালিকা তৈরী হচ্ছে বলে জানান ডেপুটি সুপার
কিন্তু এরপরেও আজ সকাল থেকে ওই হাসপাতালের চিত্র দেখলে রীতিমতো শিউড়ে উঠতে হয়। সকাল থেকেই রোগী ও রোগীর পরিজনদের ভিড় উপচে পড়ে ওই হাসপাতালে। চিকিৎসকদের জন্য অপেক্ষারত রোগী ও তাদের সাথে আসা পরিজনরা একে অপরের প্রায় গা ঘেষাঘেষি করে বসে রয়েছ। এদের মধ্যে যেমন রয়েছেন বয়স্ক মানুষজন তেমনই ছোট ছোট শিশুদেরও দেখা যায়। সামাজিক দুরত্ব যেন এখানে ব্রাত্য। পরিষেবা বন্ধ থাকা সত্বেও কি করে এত লোকজনের ভিড় কিংবা তাঁরা কেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে না সে ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কারুর কোনো হেলদোল নেই। ফলে এমনিতেই ওই মহিলা চিকিৎসকের কারনে কতজন হাসপাতালে এখনও সংক্রমিত রয়েছেন তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তার উপর এত রোগীর ভিড়ে সংক্রমিতের সংখ্যা কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে তা বলা মুস্কিল। আর যদি তা সত্যিই হয় তাহলে তার দায়ভার কে নেবে তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।