কয়লা পাচার মামলায় আসানসোল কোর্টে ‘তারিখ পে তারিখ’
আমার কথা, আসানসোল, ১৪ নভেম্বরঃ
ফের পিছিয়ে গেল কয়লা পাচার মামলার চার্জ গঠন প্রক্রিয়া। দু’জন অভিযুক্তের অনুপস্থিতির কারণে বৃহস্পতিবার চার্জ গঠন হয়নি। আগামী ২৫ নভেম্বর চার্জ গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতর। ঐদিন সব অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া হয় সিবিআইকে।
২০১৯ সালের কয়লা পাচার মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইকে। ২০২২ সালের ১৯শে জুলাই সিবিআই প্রথম চার্জশিট পেশ করে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে । প্রথম চার্জশিটে নাম ছিল ৪১ জনের। এখন পর্যন্ত সিবিআই আদালতে মোট তিনটে চার্জশিট জমা দিয়েছে। অভিযুক্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫০ । কয়লা পাচার কেলেঙ্কারিতে ১,৩৭৪ কোটি কালো টাকা লেনদেন হয়েছে বলে দাবি করে তদন্তকারীরা। দাবির সমর্থনে ১১৪৯ পাতার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। এই মামলাতে সাক্ষ্যি রয়েছে ৩৯৬ জন। ৫০ জন অভিযুক্তের মধ্যে এই মামলার মূল অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র কে দেখানো হয় ফেরার। মৃত্যু হয়েছে একজন অভিযুক্তের। অপর মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা গ্রেপ্তার হয়নি সুপ্রিম কোর্টের রক্ষা কবজের কারণে। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তী এই মামলায় প্রথম চার্জ গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ৩-রা জুলাই। ঐদিন একাধিক অভিযুক্ত অনুপস্থিত থাকার কারণে চার্জ গঠন হয়নি । পরবর্তী চার্জ গঠনের নির্দেশ ছিল ৯ আগস্ট। ওই দিন আদালতে কর্মবিরতি থাকাই তা সম্ভব হয়নি। ৭ই সেপ্টেম্বর তৃতীয়বার চার্জ গঠনের দিন দুটি সংস্থার জটিলতার কারণে ফের চার্জ গঠন পিছিয়ে যায়। বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তী নির্দেশ দেন ১৪-ই নভেম্বর চার্জ গঠন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার। সেই মতো আজ বৃহস্পতিবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে মামলাটির শুনানি হয়। কিন্তু আজ দু’জন অভিযুক্ত অনুপস্থিত ছিলেন সেই কারণে এদিনও চার্জ গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। আজও চার্জ গঠন না হওয়াতে এই নিয়ে পরপর চার বার চার্জ গঠন প্রক্রিয়া পিছিয়ে গেল। এদিন শুনানি শেষে বিচারপতি আগামী ২৫-ই নভেম্বর চার্জ গঠন করার নির্দেশ দেন । ঐদিন সিবিআইকে সব অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করাতে হবে বলে জানান তিনি। বারবার চার্জ গঠন পিছিয়ে যাওয়ায় মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।