সাইবার প্রতারণায় শিকার মহিলা আবাস যোজনার উপভোক্তা নন, দাবি প্রশাসনের
আমার কথা, পান্ডবেশ্বর, ১৪ জানুয়ারী:
ম্প্রতি সাইবার প্রতারণার শিকার হন এক মহিলা। আবাস যোজনার ভেরিফিকেশনের নামে ফোন কল করে ওই মহিলার ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু তদন্ত করে দেখা যায় ওই মহিলা আবাস যোজনার উপভোক্তা নয় বলে জানালো ব্লক প্রশাসন।
দীর্ঘদিন ধরে বাংলায় বন্ধ রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের কাজ। কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রেখেছে এই প্রকল্পের বকেয়া টাকা। এই নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের মধ্যে চলছে টানাপোড়েন। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার পৃথকভাবে বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্প চালু করেছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা পেতে শুরু করেছে উপভোক্তারা। প্রকল্পটি যাতে স্বচ্ছভাবে রূপায়িত হয় সেজন্য সতর্কতা অবলম্বন করেছে সরকার। জেলাশাসক, মহকুমা শাসক, বিডিও সহ প্রশাসনিক কর্তাদের প্রকল্পটির উপর নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আর এটিকে হাতিয়ার করে উপভোক্তাদের টাকা হাতাতে ফাঁদ পেতে নেমে পড়েছে সাইবার প্রতারকরা। এই ফাঁদে পড়ে পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের নবগ্রাম পঞ্চায়েতের জোয়ালভাঙ্গার বাসিন্দা রাবিতা ভাড়ারী নামে এক মহিলা প্রতারণার শিকার হন। গত ১০-ই জানুয়ারি তার মোবাইলে একটি ফোন কল আসে। অপর প্রান্ত থেকে জানানো হয় বাংলা আবাস যোজনার ভেরিফিকেশন করতে শীঘ্রই আধিকারিকেরা বাড়ি যাবে। কনফার্মেশন এর জন্য একটি ওটিপি পাঠানো হচ্ছে। সেটি তৎক্ষণাৎ জানালে ভেরিফিকেশন কনফার্ম হবে বলে জানায়। এরপরই রাবিতা দেবী ওটিপি জানিয়ে দেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ব্যাংক থেকে চৌদ্দ হাজার টাকা তোলার মেসেজ আসে। তখনই রাবিতা দেবী বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। পাণ্ডবেশ্বর থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য ছাড়ায় প্রশাসনিক মহলেও। মঙ্গলবার প্রতারিত ওই মহিলার বাড়িতে যান ব্লক প্রশাসনের ওয়েলফেয়ার আধিকারিক অশোক মন্ডল। উপভোক্তাদের তালিকা যাচাই করে তিনি জানান প্রতারিত মহিলার নাম উপভোক্তার তালিকায় নেই। তবে ওই মহিলা আবাস যোজনায় ঘর পাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়ে ছিলেন। কিন্তু তার আবেদন মঞ্জুর হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই চূড়ান্ত তালিকায় ওই মহিলার নাম নেই। তাই সাইবার প্রতারণায় উপভোক্তার টাকা গায়েব হয়েছে বলে যে গুজব ছড়িয়েছে তা সত্য নয় বলে জানান তিনি। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে তিনি উপভোক্তাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন আবাস যোজনায় টাকা পাওয়ার জন্য কোন উপভোক্তাকেই পঞ্চায়েত অথবা ব্লক অফিস থেকে ফোন করা হয় না। প্রয়োজনে তথ্য যাচাইয়ের জন্য আধিকারিকরা উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছান বলে জানান তিনি।