প্রধানমন্ত্রীর আবেদনে ‘জনতা কার্ফু’ তে সাড়া দিলেন দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল সহ খনি অঞ্চলের বাসিন্দারাও
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ২২মার্চঃ
সারা বিশ্ব কাঁপছে নভেল করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে। ইতিমধ্যে সারা বিশ্ব জুড়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত কয়েক লক্ষ মানুষ। এমতবস্থায় সারা বিশ্বের সাথে ভারতবর্ষেও সরকার সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক স্তর থেকে এই ভাইরাস মোকাবিলা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতবাসীর উদ্দেশ্যে জানিয়েছিলেন আজ অর্থাৎ ২২ মার্চ সকাল ৭টা থেকে রাস্ত ৯টা পর্যন্ত্য কেউ যেন ঘরের বাইরে না বের হন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সকাল থেকে ‘জনতা কার্ফু’ যেন রীতিমতো বনধের চেহারা নিয়েছে। ‘জনতা কার্ফু’ পালন করতে দেখা গেল শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরেও। সকাল থেকে শহরের পথঘাট সুনসান। বেলা বাড়লেও দোকানপাট খুলতে দেখা গেল না। এমনকি রবিবার যেখানে দুর্গাপুরের সমস্ত বড় বড় বাজার যেমন বেনাচিতি, চন্ডিদাস, দুর্গাপুর বাজারে ভিড় উপচে পড়ে সেখানে ওই সমস্ত বাজারেও সেভাবে ক্রেতার দেখা মিলল না। একই চিত্র দেখা গেল দুর্গাপুর স্টেশনেও। প্ল্যাটফর্ম একদম ফাঁকা। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকের দিনের চিত্রটা ছিল ব্যাতিক্রমী। সেভাবে রেল চলাচল করতে দেখা গেল না। বাতিল হয়েছে বহু ট্রেন। ফলে প্ল্যাটফর্মে ট্রেনের সময়সূচীর না ছিল ঘোষণা আর না সেভাবে দেখা গেল রেলযাত্রীদের ভিড়। অপরদিকে দুর্গাপুর স্টেশন, প্রান্তিকা বাসস্ট্যান্ডগুলিতেও না ছিল বাসের লাইন আর না ছিল সেই বাসগুলিতে চরার মতো বাসযাত্রী। তবে রাস্তাঘাটে দু একটা বাইক আর হাতে গোনা কিছু পথচলতি মানুষজনের চলাফেরা।
একই চিত্র দেখা গেল খনি অঞ্চলেও। প্রধানমন্ত্রীর ‘জনতা কার্ফু’র আহ্বানে সাড়া দিয়ে ব্যাপক প্রভাব পড়তে দেখা গেল খনি অঞ্চলে। সকাল থেকেই পান্ডবেশ্বর, অন্ডাল সহ বিভিন্ন খনি অঞ্চল সকাল থেকেই একবারে ফাঁকা। বাজারহাট থেকে শুরু করে এলাকার পথঘাট একদম ফাঁকা। অন্ডাল,উখরা ও অন্ডাল দুর্গাপুর আসানসোল রুটের প্রায় সব মিনিবাস পরিষেবা বন্ধ। তবে দু একটা টোটোকে রাস্তায় চলাফেরা করতে দেখা যায়। বন্ধের চেহারা নিয়েছে খনিগুলিতেও। কয়লা উত্তোলন বন্ধ বেশিরভাগ খনিতেই।