বীরভূম থেকে পঃ বর্ধমানে আসার সীমান্তে জারি করা হল চূড়ান্ত সতর্কতা
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ১মেঃ
এবার আর বোধহয় গ্রিন জোনে থাকতে পারল না বীরভুম জেলা। প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে ওই জেলায় ৫জন বাসিন্দার মধ্যে করোনা সংক্রমনের উপসর্গ দেখা গেছে। এই খবর চাউড় হতেই বীরভূম থেকে পান্ডবেশ্বর হয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ঢোকার সীমান্তে নজরদারি আরো কড়াকড়ি করা হল পান্ডবেশ্বর থানার পক্ষ থেকে। পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূম জেলার সীমান্তে অজয় ব্রিজেরর উপর ব্যাপক তল্লাশী চালাচ্ছে পান্ডবেশ্বর থানার পুলিশ। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের গাড়ি ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অনুমতি থাকলেই তবেই সীমান্ত পেরিয়ে বীরভূম জেলায় কিংবা বীরভূম থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, ওই পাঁচজন ব্যাক্তি ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা করাতে জেলার বাইরে গেছিলেন। এরপরেই তাদের পরীক্ষা করলে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। পুলিশ সুত্রে খবর বীরভূম জেলার করোনার প্রভাব যাতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার উপর না পরে তার জন্য বীরভূম জেলা ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার সীমান্তে অজয় ব্রিজের উপর কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে। পান্ডবেশ্বর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সঞ্জীব দে নিজেই গোটা বিষয়টির তদারকি করছেন।
এদিকে, অরেঞ্জ জোন হিসেবে পশ্চিম বর্ধমান জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তারপর থেকেই অরেঞ্জ থেকে গ্রিন জোনে যাওয়ার লক্ষ্যে তৎপর হয়ে উঠেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। সেই লক্ষ্যে বলতে গেলে প্রায় এক ধাপ এগিয়েও গেছে এই জেলা। গতকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মলানদিঘির করোনা বিশিষ্ট হাসপাতালে যে শেষ যে তিনজন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন তাদের সম্পূর্ন সুস্থ বলে ঘোষণা করা হয়ে। তাঁরা ফিরে যান নিজেদের বাড়ি। প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, এই মুহূর্তে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় কোনো করোনায় আক্রান্ত রোগী নেই। ফলে আশা করাই যাচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি এই জেলা গ্রিন জোনে ঢুকতে চলেছে। আর তা নিশ্চিত করতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার সীমান্তগুলিতেও নজরদারি আরো বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে, যাতে ভিন রাজ্য কিংবা ভিন জেলা থেকে অযাচিতভাবে এই জেলায় কেউ ঢুকে বিপদ বাড়িয়ে না দেয়।