পুজোর প্রাক্কালে বেঙ্গল ডিজিটাল মিডিয়া ফাউন্ডেশনের নিবেদন “শারদ অর্ঘ্য”
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২৪ সেপ্টেম্বরঃ
সংবাদদাতাঃ প্রণয় রায়
রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন ডিজিটাল মিডিয়া হাউসগুলো মিলে তৈরী হল বেঙ্গল ডিজিটাল মিডিয়া হাউস। আজকাল এই ডিজিটাল দুনিয়ায় সবাই সোশ্যাল মিডিয়াতে খুঁজে নেয় সারা পৃথিবীকে। সংবাদ, বিনোদন সবকিছুই মেলে এই ডিজিটাল দুনিয়ায়। আমার কথা, সবার কথা , সব কিছুর ব্যাপ্তি এই ডিজিটাল দুনিয়ায়। আর এই ডিজিটাল মিডিয়া হাউসগুলো এক ছাতার নিচে সম্মিলিতভাবে আত্মপ্রকাশ করলো একটি মিডিয়া ফাউন্ডেশন গড়ে। যার চিন্তা ভাবনা শুরু হয় ২০১৮ সালে আর ২০২০ সালে গড়ে ওঠে ডিজিটাল মিডিয়া ফাউন্ডেশন, যার আত্মপ্রকাশ হল দুর্গাপুর থেকে।
কিন্তু সেই সময় সারা পৃথিবী জুড়ে করোনা অতিমারীর কারনে থমকে গেছিল এই সংগঠনের কাজ। এই বছর করোনার প্রভাব অনেকটাই কম। তাই এই বছর দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার, এই সংগঠনের নতুন উদ্যোমে পথচলা শুরু করল একটি শারদীয়া সংখ্যা প্রকাশের মধ্যে দিয়ে। দুর্গাপুরে সিটিসেন্টারে একটি বেসরকারী পান্থশালায় এই সংগঠনের প্রথম শারদীয়া সংখ্যা “শারদ অর্ঘ্য” প্রকাশের মাধ্যমে। প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, দুর্গাপুর মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এর ডিসিপি(পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা, এ.ডি. ডি.এ র ভাইস চেয়ারম্যান শ্রী কবি দত্ত।দুর্গাপুরের মহকুমা তথ্য আধিকারিক নরেন্দ্র নাথ দত্ত। মঙ্গলদীপ জ্বালিয়ে মঞ্চে উপস্থিত অতিথিরা অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
এই সংস্থার সম্পাদক কৌশিক চক্রবর্তী স্বাগত ভাষণ দেন।
এদিন এই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে অতিথিরা প্রকাশ করলেন এই সংস্থার শারদ সংখ্যা। শারদীয়া সংখ্যা প্রকাশের পাশাপাশি এদিনের অনুষ্ঠানে দুর্গাপুরের দুই ব্যাক্তিত্ব প্রাক্তন সেনাকর্মী তথা শ্যুটার ভাগীরথ সামুই যিনি অর্জুন পুরষ্কারপ্রাপ্ত ও দুর্গাপুরের প্রথম মহিলা ওলা চালক টুম্পা দেকে বেঙ্গল ডিজিটাল মিডিয়া ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ঋতুকনা ভৌমিক। শিল্পীকে সহযোগিতা করেন বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, বুদ্ধদেব দাস সহ অন্যান্য শিল্পীরা।
এদিনের অনুষ্ঠানে সমাপ্তি ঘোষণা করেন সংগঠনের সভাপতি মনোজ সিংহ,
সমগ্র অনুষ্ঠানটিতে অথিতি আপ্যায়নের দায়িত্বে ছিলেন সংগঠনের আরো দুই সদস্য গণেশ চক্রবর্তী ও মুনমুন দত্ত। সুচারুভাবে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রাজশেখর মুখোপাধ্যায়।