অনির্দির্ষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল বীরভানপুর মহাশ্মশানের বৈদ্যুতিন চুল্লি
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১১অক্টোবরঃ
দুর্গাপুরের বীরভানপুর মহাশ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লি নিয়ে টানাপোড়েন তো চলছিলই এবার তা এক ভয়াবহ আকার নিলো। চুল্লি মেরামতের সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বন্ধ থাকার নোটিশ দেওয়া হয় আর সেই নির্দিষ্ট দিনের আগেই এবার বিকল হয়ে গেল ওই মহাশ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লিটি, আর তা নিয়ে মহা ফাপরে পড়তে হল শ্মশানযাত্রীদের।
বীরভানপুর মহাশ্মশানের বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের ত্রুটির কারণে, ডিএমসি কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য চুল্লির কাজ এবং সংশোধন করার জন্য শ্মশান পুরোপুরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রবিবার সকাল থেকে। করোনা আবহে সাধারন মৃতদেহগুলি কেবল মাত্র কাঠের মাধ্যমে দাহ করা হবে বলে জানা গেছে। বাকি দুর্গাপুর পুরসভা, কাঁকসা, অন্ডাল এলাকায় কারুর করোনায় মৃত্যু হলে সেই সমস্ত মৃতদেহগুলি আসানসোলে বৈদ্যুতিন চুল্লিতে দাহ করা হবে কোভিডের প্রটোকল মেনে।
দুর্গাপুরের ৪নং বোরো কমিটির চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই এই বৈদ্যুতিন চুল্লি নিয়ে সমস্যা চলছিল, আর তা মেরামতের জন্য কিছুদিনের জন্য পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হবে। তা করতে পারলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
বীরভানপুরের এই মহাশ্মশানের উপর নির্ভরশীল পুরো দুর্গাপুর সহ বাঁকুড়ার কিয়দংশের বাসিন্দারা। এদিকে বৈদ্যুতিন চুল্লি বন্ধ রাখার কাররনে বেশ বিপাকে পড়তে হল সাধারন মৃতদেহ নিয়ে আসা শ্মশানযাত্রীদের। কারন যেখানে বৈদ্যুতিন চুল্লিতে দাহ করতে খরচ যেখানে পাঁচশ পয়ষট্টি টাকা লাগে সেখানে কাঠের আগুনে দাহকার্য সম্পন্ন করতে খরচ পরে যায় তিন থেকে চার হাজার টাকা।