দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে বহির্বিভাগ নিয়ে অভিযোগ, আচমকা পরিদর্শণে CMOH
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১৭ মেঃ
কোনও টাইম টেবিল নেই আউটডোরে রোগী দেখার অভিযোগ, নিজেদের মতো করে হাসপাতালের আউটডোর চেম্বারে আসছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ। মহকুমা হাসপাতালে আউটডোরে সকাল ন’টা থেকে দুটো পর্যন্ত থাকার কথা হাসপাতালের চিকিৎসকদের, কিন্তু কেউ আসছেন এগারোটা, কেউ আসছেন বারোটা আবার কেউ বা তারও পড়ে। নিজেদের মতো করে সরকারী এই হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ অনিয়মিত ভাবে হাসপাতালে আউটডোরে আসছেন। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে রোগীদের। প্রতিদিন সাতসকালে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা পেতে দু টাকা টিকিট করিয়ে ফের নির্দিষ্ট চিকিৎসকের চেম্বারের বাইরে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে তাদেরকে। এতে পুরো দিন চলে যাচ্ছে হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর চক্করে, এমনটাই অভিযোগ মোটা টাকার ফিস দিয়ে বাইরে ডাক্তার দেখানোর ক্ষমতা না থাকা রোগীদের।
দেরিতে আসা এক চিকিৎসকের দাবী, চিকিৎসকের অভাবে তাকে অতিরিক্ত চাপ নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। তাই একটু আধটু দেরী তো হতেই পারে।অভিযোগ উঠেছে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের এক শ্রেণীর চিকিৎসক, নিজস্ব চেম্বার করছেন, বাইরে চেম্বারও করছেন। অভিযোগ কেউ কেউ তো আবার হাসপাতালের আউটডোরের সময় বাইরে দিব্বি চেম্বার করছেন, এতে সরকারী হাসপাতালে ঢুকতে প্রায় দিনই দেরী হয়ে যাচ্ছে আর এতে প্রতিদিন হাসপাতালে আসা রোগীরা চরম এক ভোগান্তির মুখে পড়ছেন।
দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডক্টর ধীমান মন্ডল কার্যত শিকার করে নিয়েছেন প্রতিদিনকার এই সমস্যার কথা। চিকিৎসক কম থাকলেও সেই অভাবের কারণটাকে অজুহাত না দেখিয়ে সময় মতো ডিউটি করতে হবে বলে জানিয়ে দেন হাসপাতালের এই আধিকারিক। পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার ডক্টর মহম্মদ ইউনিস এই অভিযোগ পেয়ে আজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন। এবং তিনি স্বীকার করেন এই অভিযোগের কথা। এছাড়াও তিনি জানান, সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এইদিকে এই ইস্যুতে সুর চড়িয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব, দলের দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুইয়ের অভিযোগ, সবদিক থেকে ব্যর্থ তৃণমূল সরকার, আর মুখ্যমন্ত্রী বলছেন সব কাজ কমপ্লিট। সুর সপ্তমে তুলে সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকারের অভিযোগ করেন মাননীয়া বলছেন সব হয়ে গেছে আর বাস্তবের ছবিটা এক্কেবারে আলাদা। সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ সময়মতো আসছেন না বিষয়টি তার জানা ছিল না, অবিলম্বে তারা যাতে নিয়ম মতো করে আউটডোরে আসেন সেটার ব্যাপারে তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান দুর্গাপুর পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার। সব মিলিয়ে এখন দেখার বিষয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে আসা রুগীরা এই যন্ত্রনা থেকে কবে মুক্তি পায়, দেখার বিষয় কতটা সদর্থক ভূমিকা নেয় স্থানীয় প্রশাসন।