প্রার্থী দিলো বামেরা, জোটের জটে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র
- আমার কথা, দুর্গাপুর, ২৩ মার্চঃ
বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী হলেন শিক্ষাবিদ সুকৃতি ঘোষাল। শনিবার সরকারিভাবে নাম ঘোষণা হতেই প্রচারে নেমে পড়েছেন বাম কর্মীরা। বাম প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর জোট নিয়ে উঠছে প্রশ্ন, অব্যাহত রইল জোট জটিলতা।
বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করেছে প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদকে। রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল বিজেপি এখনো এই কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। তবে শনিবার বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে সিপিআইএম তাদের প্রার্থীর নাম সরকারিভাবে ঘোষণা করলো। প্রার্থী করা হয়েছে শিক্ষাবিদ সুকৃতি ঘোষালকে। সুকৃতি বাবু সমাজে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ হিসাবে পরিচিত। পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা। বর্ধমান মহিলা কলেজের তিনি প্রাক্তন অধ্যক্ষ। বরাবরই তিনি বাম সমর্থক, তবে ভোটের ময়দানে প্রার্থী হলেন প্রথমবার। উল্লেখ্য শস্য গোলা হিসেবে পরিচিত পূর্ব বর্ধমানের কৃষি সমৃদ্ধ এলাকা ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর মহকুমার শিল্প তালুক নিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র। একসময় এই কেন্দ্রটি বামেদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে রাজ্যে পালা বদলের পর কেন্দ্রটি হাতছাড়া হয় বামেদের । শিক্ষাবিদ বাম প্রার্থী সুকৃতি বাবু এবার বামেদের পালে কতোটা হাওয়া টানতে পারেন এখন সেটাই দেখার।
কয়েকদিন আগে সিপিআইএমের পক্ষ থেকে রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৬-টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই তালিকায় ছিল আসানসোল কেন্দ্র। কিন্তু তখন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে । রাজনীতিবিদদের ধারণা ছিল কংগ্রেসের সাথে সিপিআইএমের জোট হলে এই কেন্দ্রটি পেতে পারে কংগ্রেস। গত ২০ তারিখ এই কেন্দ্রটিতে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে দলের যুব নেতা পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষের বাসিন্দা আজহার মল্লিকের নাম সমাজ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তবে দলের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে এখনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি কংগ্রেস । সিপিআইএমের প্রার্থী ঘোষণা প্রসঙ্গে এদিন কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী জানান সিপিএমের সাথে এখনো জোট সরকারিভাবে হয়নি। তাই সিপিআইএম নিজেদের মতো করে প্রার্থী ঘোষণা করছে। জোট না হলে কংগ্রেসও এই কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে। বিষয়টি চূড়ান্ত হলে দিল্লি থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে। দেবেশ বাবুর কথাতেই পরিষ্কার জোটের জট এখনো কাটেনি। রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা তাকিয়ে রয়েছেন দিল্লির দিকে। হাই কমান্ডের নির্দেশের অপেক্ষায়।