দুর্গাপুরে সিপিএমের বিক্ষোভ, পুলিশের কাছে লকডাউনের বিধিভঙ্গের অভিযোগ দায়েরের হুঁশিয়ারি বোরো চেয়ারম্যানের
![](https://aamarkatha.in/wp-content/uploads/2020/04/a-66.jpg)
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ১৫এপ্রিলঃ
করোনা বিষয়ক একগুচ্ছ দাবি নিয়ে দুর্গাপুরের ৪নং বোরো কমিটির কার্যালয়ের সামনে আজ বুধবার বিক্ষোভ দেখানো হয় সিপিআই(এম) এর পক্ষ থেকে, আর এই বিক্ষোভ প্রদর্শণ করতে গিয়ে লকডাউনের নিয়ম ভাঙ্গা হয়েছে বলে দাবি করে পুলিশ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবেন বলে হুঁশিয়ারী দিলেন ৪নং বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দোপাধ্যায়।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে চলতি মাসের ৯ তারিখে মলানদিঘির করোনার বিশিষ্ট হাসপাআতলে মৃত্যু হয়েছে আসানসোলের এক ইউনানী চিকিৎসকের। তার আগে বিধাননগরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে ওই চিকিৎসকের চিকিৎসাও চলেছিল। এরপরেই শহর জুড়ে করোনা নিয়ে মারাত্মকরকম আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে দুর্গাপুরবাসীদের মধ্যে। সিপিএমের পক্ষ থেকে পঙ্কজ রায় সরকারের অভিযোগ যে, এরপরেও শহরে প্রশাসনের টনক নড়েনি। করোনার মোকাবিলার জন্য সব থেকে বেশী জরুরী র্যাপিড টেষ্টের। কিন্তু এই শহরে সেভাবে র্যাপিড টেষ্ট হচ্ছে না। শুধু তাই নয়। আসানসোলে করোনা হাসপাতাল না করে তা করা হল দুর্গাপুরে। আর এতে দুটি শহরকেই সংক্রমিত করা হল আর এটি পরিকল্পনায় গলদের ফলশ্রুতি। পাশাপাই তিনি আরো অভিযোগ করেন যে, ওয়ার্ডভিত্তিক জীবানুমুক্ত করার কাজ না করে প্রসাসনের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র কয়েকটি বাজার আর পথঘাটে জীবানুনাশক ছড়ানো হয়েছে। পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া দেখা মিলছে না কোন প্রশাসনিক আধিকারিকের, সবার জন্য রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে, ইত্যাদি একগুচ্ছ দাবি নিয়ে সিপিএমের পক্ষ থেকে সগরভাঙ্গায় ৪ নং বোরো কার্যালয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় এদিন । বোরো চেয়ারম্যানকে না পেয়ে বন্ধ কার্যালয়ের দরজায় স্মারকলিপি সাঁটিয়ে দেওয়া হয় সিপিএমের পক্ষ থেকে।
অপরদিকে, ৪নং বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দোপাধ্যায় বলেন য, এই সময়ো সিপিএম রাজনীতি করছে। আমরা কোনো দল না দেখে সকলের পাশেই দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। ২৮নং ওয়ার্ডটি সিপিএম বিধায়কের বিধানসভা এলাকার মধ্যেই পড়ে। ওই এলাকাটি জীবানুমুক্ত করার জন্য সন্তোষবাবু বিধায়ক তহবিল থেকে একটি টাকাও তো দেননি। আসলে সিপিএম করোনার থেকেও ভয়ানক। তাই বাংলার মানুষ এদের ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। আজ বোরো দপ্তরে এসে এনারা রাস্তা অবরোধ করেছেন, বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, জমায়েত হয়ে লকডাউনের নিয়ম ভেঙ্গেছেন, স্বাস্থ্যবিধির নিয়মভঙ্গ করেছেন। সবটাই আইন বিরুদ্ধ কাজ করেছেন। যারা আজ এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছেন আমি তাদের বিরুদ্ধে মহকুমা শাসক, জেলাশাসক আর পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবো যাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
অপরদিকে সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার লকডাউনের নিয়ম ভাঙ্গার বিষয়ে বলেন যে, আমরা কোনো রাজনৈতিক সমাবেশ করিনি। তাই যদি হতো তাহলে এর আগেও এখানে পাঁচ হাজার মানুষের জমায়েত করেছি। আমরা হাতে গোনা কয়েকজন মিলে মানুষের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে এসেছিলাম আর পুরোটাই লকডাউনের নিয়ম মেনেই করেছি।