দুর্গাপুরে ছাত্রীকে ইভটিজিং, প্রতিবাদ করায় রক্তাক্ত সহপাঠী
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১১ ডিসেম্বরঃ
এক ছাত্রীর সাথে অভব্য আচরণ করায় তার প্রতিবাদ করতে গেলে হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রকে বেড়ক মারধর করলো বিসিএ এর তৃতীয় বর্ষের চার ছাত্র। শনিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে গেল দুর্গাপুরের নিউটাউনশীপ থানার অন্তর্গত বিধাননগরের ফুলঝোড়ের কাছে এক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। শুক্রবার বিকেলে কলেজের ক্যান্টিনে বসে এক বান্ধবীর সাথে টিফিন খাচ্ছিল হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র বাবুল পাল। অভিযোগ, হঠাৎই বাবুলের সহপাঠী ওই বান্ধবীকে ইভটিজিং শুরু করে কলেজেরই তৃতীয় বর্ষের বিসিএর চার ছাত্র। প্রতিবাদ করাতে বাবুলকে ডেকে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। সাথে সাথে বাবুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় বেসরকারি এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্গাপুরের নিউটাউনশীপ থানায় এরপর কলেজের তরফে সবকিছু জানানো হলে অভিযুক্ত চার ছাত্রকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু রাতে চারজনকেই ছেড়ে দেওয়া হয়। আর শনিবার সকালে এই খবর জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাবুলের আত্মীয় পরিজনরা। কলেজ কর্তৃপক্ষকে ঘিরে ধরে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। অবিলম্বে চার ছাত্রকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হয় বাবুলের পরিবারের লোকজনেরা। প্রশ্ন তুলতে থাকেন কেন কলেজ কর্তৃপক্ষ আড়াল করার চেষ্টা করছে অভিযুক্তদের। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসেন উত্তেজিত পরিবার পরিজনদের সাথে। কিন্তু নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে বাবুলের পরিবারের লোকজন। পরিবারের অভিযোগ, কিভাবে কলেজের ভেতর র্যাগিং চলে আর এই দুঃসাহস পায় ছাত্ররা। প্রয়োজনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুর্গাপুরের মহকুমা শাসকের দফতরে অভিযোগ জানানো হবে বলেও পরিবারের লোকজনেরা জানান।
অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে বলে বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষা ডক্টর অরুনাভা মুখোপাধ্যায় জানান, কলেজের আন্টি ৱ্যাগিং সেল তদন্ত করছে,অভিযুক্তদের শোকজ করা হয়েছে। ছাত্রদের ৪৮ঘন্টার সময় দেওয়া হয়েছে শো কজের জবাব দিতে,যদি কলেজ কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট না হয় প্রয়োজনে কলেজ থেকে তাদেরকে বের করে দেওয়া হবে।