বয়স্কদের পাশে ঝাড়গ্রাম থানার ‘মানবিক’ পুলিশ-সিভিক কর্মীরা
আমার কথা, ঝাড়গ্রাম, ৪সেপ্টেম্বরঃ
ব্যাঙ্কে নিয়ে যাওয়া থেকে গ্যাস বুকিং, আবার ট্যাপে জল ধরে দেওয়া থেকে ওষুধ কিনে এনে দেওয়া, এমনকী একাকীত্ব কাটাতে বাড়িতে গিয়ে গল্প করা। এমনই মানবিক কাজ করছেন ঝাড়গ্রাম থানার পুলিস কর্মীরা। এই করোনার আবহে পরিবারের সদস্যের মতো পুলিসকে পাশে পেয়ে খুশি বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম শহরে অনেক বয়স্ক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা রয়েছেন, যাঁদের কেউ দেখেন না, আবার অনেকের কেউ নেইও, কারও ছেলে বাইরে থাকে তো আবার কারও এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। কোনও ছেলে হয়তো বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখাশুনা করে না। তাদের জন্যই এই উদ্যোগ। ঝাড়গ্রাম থানার আইসি পলাশ চট্টোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় পুলিস সমীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে ৬০ জনের নামের তালিকা তৈরি করেছে ।
ঝাড়গ্রাম থানার এক জুনিয়র কনস্টেবল জগদীশচন্দ্র কুইরী ও সিভিক ভলান্টিয়ার সনাতন মান্না স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে ঝাড়গ্রাম শহরের ঘোড়াধরা, কদমকানন, রঘুনাথপুর, নতুনডিহি, বাছুরডোবা, পুরাতন ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় একা থাকা এই রকম ৬০ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে চিহ্নিত করেছেন। প্রথমে পুলিসের পোশাক পরে ওই সব বৃদ্ধ ও বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে নিজেদের পরিচয় দিয়ে তাঁদেরকে সব কথা বলে নিজেদের চারটি মোবাইল নম্বর কাগজে লিখে দিয়ে আসছেন তাঁরা। তারপর তাঁদের কাছে ফোন এলেই নিজেদের বাইক নিয়ে তাঁদের কাছে পৌঁছে গিয়ে সেই সমস্যার সমাধান করছেন। ঝাড়গ্রাম শহরে একা থাকা বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের পাশে থেকে এভাবেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন পুলিস-সিভিকরা। পুলিসের মানবিক এহেন কাজ দেখে আপ্লুত শহরের বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা।