দলের নির্দেশে ইস্তফা দিলেন খান্দরা পঞ্চায়েতর উপপ্রধান
![](https://aamarkatha.in/wp-content/uploads/2024/07/IMG-20240701-WA0006.jpg)
BREAKING
আমার কথা, অন্ডাল, ১ জুলাই:
ইস্তফা দিলেন তৃণমূল পরিচালিত খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গণেশ বাদ্যকর। দলের নির্দেশে সোমবার তিনি ইস্তফা পত্র দেন বিডিওর হাতে। উপপ্রধান কে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিতর্কের কারণে অচল অবস্থা চলছিল পঞ্চায়েত দপ্তরে। তিনি ইস্তফা দেওয়াতে অচল অবস্থার অবসান ঘটবে বলে আশা দলের।
তৃণমূল পরিচালিত খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েতে বেশ কিছুদিন ধরেই প্রধান ও উপপ্রধান কে নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। দলেরই একাংশ পঞ্চায়েত সদস্য তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি স্বেচ্ছাচার স্বজন পোষণের অভিযোগ নিয়ে হয়েছিল সরব। গত সপ্তাহে দুদিন দলের একাংশ পঞ্চায়েত সদস্য প্রধান উপপ্রধানের ইস্তফার দাবিতে পঞ্চায়েত দফতরে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভও দেখায়। রবিবার খান্দরা পঞ্চায়েত কার্যালয়ের দেওয়াল সহ গ্রামের বিভিন্ন পাড়াতে প্রধান উপপ্রধান চোর লেখা পোস্টারও পড়ে, যা নিয়ে অস্বস্তিতে পরে শাসক দল। প্রধান উপপ্রধানকে ঘিরে শাসক দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব পৌঁছায় চরম পর্যায়ে। শেষ পর্যন্ত বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে হয় দলের ব্লক ও জেলা নেতৃত্বকে। দলের পক্ষ থেকে উপপ্রধান গণেশ বাদ্যকরকে পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। রবিবার পোস্টার কাণ্ডের পর উপপ্রধান গণেশ বাদ্যকর তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন পঞ্চায়েত সদস্যদের সমর্থনে আমি উপপ্রধান হয়েছি। কিন্তু দলেরই একটি গোষ্ঠী ব্যক্তি স্বার্থে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে আমাকে পদ থেকে সরানোর জন্য। রবিবার তিনি জানিয়েছিলেন দলের সম্মান রক্ষার্থে আগামী ১০ দিনের মধ্যে উপপ্রধান পদ থেকে ইস্তফা দেবো।
সোমবার সূত্র মারফত জানা যায় এদিন বেলা দুটো নাগাদ গণেশ বাবু উপপ্রধান পদ থেকে ইস্তফা পত্র দেন অন্ডাল ব্লকের বিডিওর হাতে। যদিও বিডিও দেবজ্যোতি দত্ত উপপ্রধানের ইস্তফা প্রসঙ্গে অফিসিয়ালি কিছু বলেননি। বিষয়টি নিয়ে গনেশ বাদ্যকরের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন সুইচড অফ পাওয়া যায়। তবে শাসক দলের ব্লক সভাপতি কালোবরণ মন্ডল গনেশ বাবুর ইস্তফা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। গণেশ বাদ্যকর কে নিয়ে পঞ্চায়েতে অচলাবস্থা ও দলের অন্দরে যে অস্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছিল ইস্তফা দেওয়ায় তার অবসান ঘটবে বলে জানান কালোবরণ বাবু।