চার দিন পেরিয়ে গেলেও খোঁজ মিলল না দুর্গাপুরের যুবকের, আটক দুই বন্ধু
আমার কথা, আসানসোল, ১২ অক্টোবর:
চিত্তরঞ্জন থানার হনুমান মন্দির ঘাট এলাকায় দুর্গাপুর থেকে আসা এক যুবতী সহ তিন যুবক ঘুরতে আসে। এরপর অজয় নদে স্নানে নেমে তলিয়ে যায় এক যুবক।
অজয় নদীর জলে তলিয়ে যাওয়া সেই যুবকের দেহ এখনো না মেলায় পুলিশ কুকুর দিয়ে চালানো হয় তল্লাশি।
প্রসঙ্গত গত রবিবার ৮/১০/২৩ তারিখে দুর্গাপুর থেকে এক যুবতী সহ তিন যুবক চিত্তরঞ্জন থানার অন্তর্গত ফতেপুর এলাকার অজয় নদীর তীরে হনুমান মন্দির ঘাটে ঘুরতে আসে।সেখানে বন্ধুদের সাথে স্নানে নামে অয়ন মণ্ডল(২০) রানীগঞ্জ টিডিবি কলেজের ছাত্র। এরপরেই তলিয়ে যায় অয়ন। চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে এলাকায় পৌঁছে নদীতে ডুবুরি দিয়ে তল্লাশি চালায় যদিও দেহ উদ্ধার সম্ভব হয়নি। এরপর পুলিশ ওই যুবকের সঙ্গী আকাশ দাস(৩১), অগ্নিব ধর (২৮) নামের দুজনকে আটক করে। কিন্তু শতরূপা দত্ত (২৫) নামে ঐ যুবতি কে অভিভাবকেরা রাতে বন্ডে সই করে শতরূপাকে ঘরে নিয়ে যায়!!পুলিশ পরবর্তী ক্ষেত্রে ধৃত দুই যুবককে আসানসোল আদালতে পেশ করে ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে নিজেদের হেফাজতে নেয়। যেখানে ধৃত এক যুবকের বক্তব্যে অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়। চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ এরপর তলিয়ে যাওয়া যুবকের দেহের সন্ধানে নদী তীরবর্তী সমস্ত থানায় খবর দেয়। পাশাপাশি পুলিশ কুকুরের সাহায্যেও এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। যদিও এখনো পর্যন্ত অয়ন মণ্ডলের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অয়নের বাবা প্রশান্ত মণ্ডল অভিযোগ করে জানান যে তার ছেলেকে ফুঁসলিয়ে ওই তিনজন চিত্তরঞ্জনে নিয়ে আসে হয় তাকে অপহরণ করা হয়েছে অথবা মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তাই অবিলম্বে অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তার ছেলেকে উদ্ধার করে দিতে হবে। তবে বৃহস্পতিবার চিত্তরঞ্জন থানার অন্তর্গত ফতেপুর অজয়নদীর হনুমানমন্দির ঘাট ও চিত্তরঞ্জন ব্রিজ ঘাট এলাকায় পুলিশ কুকুরের সাথে তল্লাশি চালায়।
*দেরীতে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, চারজনের মধ্যে আকাশ দাস দুর্গাপুরের সি-জোনের, অগ্নিভ ধর বামুনাড়ার, শতরূপা দত্ত এ-জোনের বাসিন্দা। নিখোঁজ অয়ন বড়জোড়ার বাসিন্দা।