পুনর্বাসন ছাড়া জমি নিতে এলে বুলডোজারের সামনে নিজে দাঁড়াবেন বলে হুঁশিয়ারী সাংসদের
আমার কথা, দুর্গাপুর, ২৯ জুলাই:
বেশ কয়েক বছর ধরে শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা বিকেন্দ্রীকরণের তোড়জোড় চলছে, যা নিয়ে ওই দুটি কারখানার শ্রমিকমহলে ক্ষোভেরও সৃষ্টি হয়েছে। নানা সময়ে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলির উদ্যোগে কর্মীরা কারখানায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, কখন প্রতিবাদ কর্মসূচীও নিয়েছেন। তবে এখনো পর্যন্ত্য বিকেন্দ্রীকরন না হলেও সেইল কর্তৃপক্ষের বিবিন্ন কাজকর্ম শ্রমিকমহলে গুঞ্জনের সৃষ্টি করেছে যে এবার কারখানা দুটি বেসরকারী করনের পুরোপুরি সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেইন হাসপাতালটিকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে তাতে তারা মনে করছেন কোনো বেসরকারী কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার তোড়জোড় এটি। পাশাপাশি ইস্পাত নগরীর বিভিন্ন জায়গায় যারা দুর্গাপুএ ইস্পাত কারখানার জমির উপর দোকানপাট করে বসে আছেন তাদের সেই জায়গা ছেড়ে দেওয়ার নোটিশও জারি করা হয়েছে।এই ঘটনাতে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ৩৩ নং ওয়ার্ডে যারা বসবাস করেন তারা গতকাল কারখানার টাউন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিংয়ের গেটের সামনে জমায়েত করে প্রতিবাদ জানান। তাদের দাবি কোনোরকম উচ্ছেদ করা যাবে না। প্রায় হাজার দশেক মানুষের বাস।
এদিকে এই বিষয়ে আজ দুর্গাপুরের সাংসদ এস.এস আলুওয়ালিতা একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেই সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, কারখানা বিকেন্দ্রীকরন হলে তা রাজ্যের জন্য ভালো হবে। বেকারত্ব মিটবে। অন্যদিকে গতকালের আন্দোলনকারীদের উদ্দ্যেশ্য তিনি বলেন জমির পুণর্বাসন না দিয়ে জমি অধিগ্রহণ করা চলবে না। তিনি দুর্গাপুরের সোনারতরী, ইস্পাতপল্লী, স্বপ্ননীড়, বিজুপাড়ার নাম উল্লেখ করে বলেন এখানে বসবাসকারীরা পুনর্বাসনে জায়গা পেয়েছেন। বহুবার দেখা গেছে কারখানা সম্প্রসারনের জন্য জমি অধিগ্রহন করার ক্ষেত্রে সেই জমিতে বসবাসকারীদের পুনর্বাসন দিয়ে তবেই জমি নেওয়া হয়েছে। পুনর্বাসন না দিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান করতে এলে বুলডোজারের সামনে তিনি নিজে দাঁড়াবেন বলেও হুঁশিয়ারী দেন সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া৷