করোনা মোকাবিলায় ‘আমরা করবো জয়’ এবার শোনা গেল দুর্গাপুর পুলিশের মুখে
দেশ জুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে চলছে লকডাউন। এই লকডাউনের মূল পন্থা হল যদি মানুষজন নিজেদের গৃহবন্দী করে নেন আর খুব প্রয়োজনে বেরোলেও সাবধানতামূলক সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলে অর্থাৎ বাড়ির বাইরে একে অপরের সাথে কমপক্ষ এক মিটার দুরত্ব বজায় রাখে তাহলে এই ভাইরাসের মরন কামড় থেকে নিজেদের ও নিজের পরিবারকে বাঁচাতে পারবে। সরকারের এই আবেদন যাতে সাধারন মানুষ সঠিকভাবে মেনে চলেন তাঁর জন্য দিন রাত পথে নেমে সাধারন মানুষকে নরমে গরমে বোঝানোর চেষ্টায় সব থেকে বড় ভূমিকা নিতে যাদের দেখা যাচ্ছে তাঁরা হল পুলিশ প্রশাসন। নিজেদের প্রাণের মায়া ত্যাগ করে তাঁরা সাধারন মানুষকে নানাভাবে সচেতন করার লক্ষ্যে ক্রমাগত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কখনও মাইকিং করে, কখনও লিফলেট বিলি করে, কখনও বা লাঠি উঁচিয়ে অবাধ্যদের লকডাউন মানতে বাধ্য করতে দেখা যাচ্ছে তাদের। এছাড়াও কঠোর পুলিশকে লকডাউনে দেখা যাচ্ছে এক অন্য ভূমিকাতেও। ঘরবন্দী মানুষ যখন বন্দীদশায় ক্লান্ত তখন তাদের ক্লান্তি ঘোচাতে সাথে তাদের করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় মনের জোর বাড়াতে মাইক হাতে গান গাইতেও দেখা যাচ্ছে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় পুলিশকে গান গেয়ে সাধারন মানুষের মনোবল বাড়াতে ইতিমধ্যেই দেখা গেছে। এবার সেই একই ভূমিকা দেখা গেল শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের উদ্যোগে দুর্গাপুরের বিভিন্ন থানার পুলিশকর্মী থেকে শুরু করে আধিকারিকদের দেখা গেল এবার শিল্পাঞ্চলের পথে দাঁড়িয়ে শিল্পাঞ্চলবাসীদের মনোবল বাড়াতে মাইক হাতে গেয়ে উঠতে দেখা গেল “আমরা করব জয় নিশ্চয়ই”। আবার কোনো পুলিশকর্মীকে দেখা গেল এই “উই শ্যাল ওভার কার” গানের সাথে হাতে তালি দিয়ে উৎসাহ দিতে। শিল্পনাচলের পথে রীতিমতো গোল মার্কিং করে সেই সামাজিক দুত্বের মার্কিং এর মধ্যে দাঁড়িয়ে গান গাইতে দেখা গেল পুলিশকর্মীদের। আজ মঙ্গলবারের এই চিত্র দেখা গেল দুর্গাপুর নগর নিগমের ২৩নং ওয়ার্ডের এম এ এম সি টাউনশিপে। পুরপিতা দেবব্রত সাঁইয়ের সহযোগিতায় এদিনের এই কর্মকান্ডে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি(পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা, এসিপি(ট্রাফিক) শ্বাশ্বতী শ্বেতা সামন্ত প্রমূখ। লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে পুলিশের এ হেন ভূমিকায় বেশ খুশি শিল্পাঞ্চলবাসী।