অবশেষে দুর্গাপুরে স্বস্তির হাওয়া, দুই বৃদ্ধের করোনা রিপোর্ট এবার নেগেটিভ
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ১২মেঃ
টানা ৩৬ ঘন্টার উৎকণ্ঠার অবসান হল শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরে। করোনায় আক্রান্ত দুই প্রবীন ব্যাক্তির করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ বলে জানা গেছে প্রশাসনের তরফে। ফলে আপাততঃ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন দুর্গাপুরের বাসিন্দারা। এমতবস্থায় দুর্গাপুরে আর কোনো করোনায় আক্রান্ত রোগীর হদিশ নেই বলে মনে করা হচ্ছে প্রশাসনিক মহলে।
গত ৬মে দুর্গাপুরের গান্ধীমোড় সংলগ্ন একটি বেসরকারী হাসপাতালে শারীরিক সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন এ জোনের সি আর দাস রোড ও বি জোনের নিউটন অ্যাভিন্যু এর বাসিন্দা ৭৩ ও ৭৫ বছরের দুই প্রবীন ব্যাক্তি। এরপর ওই দুই ব্যাক্তির মধ্যে করোনা উপসর্গ মেলায় হাসপাতালের তরফে তাদের লালারসের নমুনা পাঠানো হয় একটি বেসরকারী ল্যাবরোটরিতে। তাতে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সাথে সাথে ওই দুই বৃদ্ধকে কাঁকসার মলানদিঘির করোনা বিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে ওই বেসরকারী ল্যাবের রিপোর্টের উপর ভরসা রাখতে পারেনি প্রশাসন। ফলে পুনরায় ওই দুই প্রবীনের সরকারীভাবে পরীক্ষা করানোয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে মলানদিঘির ওই হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল ওই দুই বৃদ্ধের। এরপর ওই দুই বৃদ্ধের ফের লালারসের পরীক্ষা করা হয় মলানদিঘির ওই হাসপাতালেই। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে বলে জানানো হয় হাসপাতাল ও প্রশাসনিক স্তরে।
এদিকে, রবিবার থেকে যখনই দুর্গাপুরের ওই দুই বৃদ্ধের করোনায় আক্রান্তের খবর শহরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে তখন থেকেই আতংক গ্রাস করে বসে শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যে। পুলিশের তরফে আজ সকালেই দুই প্রবীনের বাড়ির ২০০ মিটার বাঁশের ব্যারিকেড করে কন্টেনমেন্ট জোন করে দেওয় হয়। সাথে গতকাল দুই প্রবীনের পরিবারের সদস্যদের ইঞ্জিনিয়ার্স হস্টেল যেখানে কোইয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে গত ৩৬ ঘণ্টা দুর্গাপুরের বুকে যেন এক গুমোট পরিবেশ তৈরী হয়ে গেছিল। কিন্তু আজ সন্ধ্যের পর যখনই শহরের বুকে ফের এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ল যে করোনায় আক্রান্ত ওই দুই বৃদ্ধের পুনরায় সরকারী টেষ্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে তখন থেকেই যেন শহরের পরিবেশ অনেকটাই হাল্কা হয়েছে বলে মনে করছেন শহরবাসী।