মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন একই হোটেলে সন্দেহভাজন মহিলা, গাড়ি সহ আটক, শেষে কি হল?
আমার কথা, দুর্গাপুর, ৭ এপ্রিলঃ
ভোট প্রচারে দক্ষিণবঙ্গ সফরে বেরিয়ে শনিবার দুর্গাপুরে যে হোটেলে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী, সেই হোটেল থেকে ভিন জেলার এক মহিলাকে একটি গাড়ি সহ আটক করে পুলিশ। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়। কিন্তু কেন ওই মহিলাকে আটক করা হয়েছিল, কেনই বা তাঁর গাড়িটিকেও ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়? তা নিয়েই রবিবার দিনটায় ছিল টানটান উত্তেজনা। বিশেষ করে যে হোটেলে রয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী, সেই হোটেলের থেকেই ওই মহিলাকে আটক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ উত্তরবঙ্গে ভোট প্রচার শেষ করে রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ভোট প্রচার শুরু করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । দক্ষিণবঙ্গে প্রচারে যোগ দিতে শনিবার বিকেল বেলায় দুর্গাপুরে এসে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী । সিটি সেন্টার এলাকায় একটি হোটেলে ওঠেন তিনি। রাত্রিবাসের পর আজ রবিবার সকালে সেখান থেকে তিনি সড়কপথে পাড়ি দেন পুরুলিয়া । সিটি সেন্টারে যে হোটেলে উঠেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী রবিবার সকালে সেই হোটেল থেকে একটি চার চাকা গাড়ি সহ এক মহিলাকে আটক করে পুলিশ । গাড়ি সহ মহিলাকে যখন আটক করা হয় সেই সময় হোটেলেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । এদিন সকালে ঐ হোটেলে পৌছাই সিটি সেন্টার ফাঁড়ির পুলিশ । গাড়ি সহ ঐ মহিলাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান তারা । সূত্র মারফত জানা যায় গাড়িটি মালদহ জেলার, আটক মহিলা সেখানকার একটি বেসরকারি স্কুলের প্রিন্সিপাল । গতকাল শনিবার মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ওই একই হোটেলে উঠেছিলেন ওই মহিলাও । পুলিশ সূত্রে খবর মুখ্যমন্ত্রী থাকায় হোটেল ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় বাড়তি নজরদারি ও বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ ছিল । আটক করা গাড়িটি নো পার্কিং জোনে দাঁড় করানো ছিল । গাড়িটি সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য মহিলাকে বলা হলেও তিনি তা করতে রাজি হননি । জিজ্ঞাসাবাদে মহিলার কথায় কিছু অসঙ্গতি পাওয়া যায় । গাড়িটির নম্বর সার্চ করে দেখা যায় গাড়ির মালিক অন্য কেউ , এবং গাড়ির মালিকও মালদার বাসিন্দা। এরপরই গাড়ি সহ ওই মহিলাকে আটক করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর ।এরপর দুর্গাপুর পুলিশ গাড়ির মালিকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান তাঁর গাড়িটি চুরি হয়েছে। সাথে সাথে দুর্গাপুর পুলিশ মালদার পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে। কিন্তু তাতে বিশেষ কিছু লাভ হয় না। পরে মহিলা জেরায় জানান, গাড়ির মালিকের থেকে তিনি টাকা পান, সেই টাকা না পেয়ে গাড়িটি তিনি নিয়ে চলে আসেন। এরপর পুলিশ নো-পার্কিং জোনে গাড়ি পার্ক করার চার্জ দিয়ে মহিলাকে ছেড়ে দেয়।