শ্মশান থেকে তুলে আনা হল পবিত্রর মৃতদেহ, অগ্নিগর্ভ গোটা এলাকা
আমার কথা, কাঁকসা, ২১ মার্চঃ
পবিত্র খুনের ঘটনায় ফের আগুন জ্বললো এলাকায়। পোড়ানো হল মদের ঠেক। অভিযক্ত শম্ভূ দাসের দুই ছেলের ফাঁসির দাবি তুলে সরব হলেন পবিত্রর পরিবার। শ্মশান থেকে পবিত্রর মৃতদেহ তুলে এনে বিক্ষোভে সামিল হলেন এলাকার লোকজন। পরিতস্থতি সামাল দিতে উত্তরপাড়া এলাকায় কাঁকসা থানার পুলিশ পৌঁছোলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা।
কাঁকসার গোপালপুরে তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো নাগাদ মৃত তৃণমূল কর্মী পবিত্র বিশ্বাসের দেহ ময়নাতদন্তের পর গোপালপুর উত্তর পাড়ায় বাড়িতে পৌঁছতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকায়। উত্তেজিত গ্রামবাসী অভিযুক্ত শম্ভু দাসের ভাই বিষু দাসের ব্যবসার গোডাউনের সামনে মদের ঠেকে আগুন ধরিয়ে দেয়। অন্যদিকে গ্রামের কয়েকশো মহিলারা অভিযুক্ত শম্ভু দাসের বাড়ি ঘেরাও করতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। পরিবারের সদস্যরা বলেন শম্ভু দাস বিজেপি করে যার কারনেই পবিত্রকে পিটিয়ে মারা হয়েছে।
এদিকে মৃতদেহ বাড়ি থেকে শ্মশানে সৎকার করতে গেলেও ফের শ্মশান থেকে মৃতদেহ দেহ উঠিয়ে আনা হয় শম্ভু দাসের বাড়ির সামনে। সেখানে মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসী। যতক্ষণ না পুলিশ শম্ভু দাসকে গ্রেফতার করেছে ততক্ষণ ধরে এলাকার মানুষ মৃতদেহ সৎকার করবে না বলে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গকতঃ এলাকায় সুদ ব্যবসায়ী শম্ভূ দাসের বাড়ির সামনে থেকে ভোর তিনটে নাগাদ উদ্ধার হয় পবিত্র বিশ্বাস নামে এক যুবকের মৃতদেহ। পবিত্রর সারা শরীরে মারধরের চিহ্ন সাথে গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়। পবিত্রর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওইদিন রাতে পবিত্র একটি ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। এদিকে রাত ১টা নাগাদ পবিত্রর ফোন থেকে তার এক বন্ধুর কাছে ফোন যায় যাতে পবিত্র তাঁকে বাঁচানোর কথা বলে সাথে শম্ভূ দাসের নাম উল্লেখ করে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় শম্ভূ দাস সহ তার পরিবার। উত্তেজিত এলাকাবাসীরা শম্ভূ দাসের বাড়িতে চড়াও হয়ে একটি গাড়ি ও বাড়ির একাংশে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনায় লাগে রাজনৈতিক রঙ। পবিত্রকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে আর এই ঘটনার পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। শম্ভূ দাসের সাথে বিজেপির যোগসুত্র আছে বলেও এলাকাবাসীরা দাবি করেন। অপরদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে সমস্ত কিছু অস্বীকার করা হয়। তবে পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, পবিত্রর সাথে শম্ভূ দাসের স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল আর সেই কারনেই সম্ভবতঃ এই হত্যাকান্ড। যদিও স্থানীয়রা জানান, শম্ভূ দাস সুদের কারবার করে আর পবিত্রকে খুনের সাথে এর কোনো সম্পর্ক রয়েছে।