অবৈধ বালি কারবারে যুক্ত থাকার অভিযোগে কাঁকসায় গ্রেফতার উপপ্রধানের ছেলে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(কাঁকসা), ৫ফেব্রুয়ারীঃ
বেআইনিভাবে কয়লা পাচারের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করল কাঁকসা থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের ছেলেও রয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। ধৃতদের আদালতে তোলা হয়।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ১৪টি লরিতে করে অবৈধভাবে বালি পাচার করার সময় গোপন সুত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে কাঁকসা থানার পুলিশ। লরি সহ প্রথমে ১৩জন লরির চালককে আটক করে পুলিশ। এদের জেরা করে একটি অবৈধ বালিঘাটের মালিক ফিরু খানের সন্ধান পায়। সাথে এই ফিরু খানকে অবৈধ কারবারে সাহায্য করার অভিযোগে নাম জড়ায় বনকাটি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছেলে সেখ কিরনের। নাম পাওয়া যায় ননি সাহা নামে আরো এক ব্যাক্তির। এরা দুজনে বালির প্যাড ইস্যুর সাথে যুক্ত বলে অভিযোগ। ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ নকল চালান, দুটি গাড়ি, মোবাইল ফোন ও কিছু নগদ অর্থ উদ্ধার করেছে । । পুলিশ এদের সকলকেই গ্রেফতার করে আজ দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে। বিচারক অভিযুক্তদের ১০ দিনের পুলিশী হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি(পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, “চালানগুলি যে নকল তা বাঁকুড়া জেলা ভূমি সংস্কার দপ্তরকে দেখানোর পর জানা গিয়েছে। আমরা জেরা চালাচ্ছি। জানার চেষ্টা চলছে এই নকল চালান কারা তৈরী করছে। খুব তাড়াতাড়ি তাদের হদিশ মিলবে বলে আমরা আশাবাদী। আর আমাদের এরকম অভিযান আরো চলবে। এরকম হয়ত আরো অনেকেই ধরা পড়বে।
অবৈধ বালি কারবারের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি নেতা রমন শর্মা বলেন, যত তোলাবাজি যত মাফিয়াগিরি সব তৃণমূলের প্রশয়ে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশয়ে এই রাজ্যে মাফিয়াদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। এর আগেও এভাবে নকল চালান সহ অবৈধ বালিগাড়ি ধরা পড়েছে কিন্তু উচ্চনেতৃত্বের হস্তক্ষেপের জন্য তাঁরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে।
অপরদিকে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে কাঁকসা ব্লক সভাপতি দেবদাস বক্সি বলেন, পুলিশ উপপ্রধানের ছেলেকে গ্রেফতার করে আদালতে তুলেছে। বিচারে যদি সে দোষী সাবস্ত হয় তাহলে আইন আইনের মতো তাঁকে শাস্তি দেবে। এক্ষেত্রে আমাদের দল নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে।