দুর্গাপুরে স্কুলের বর্ধিত ফি’ নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকেও বেরোলো না সমাধান সুত্র, আদালতের রায়ের দিকে তাকিয়ে এবার সব পক্ষ
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৪আগস্টঃ
এখনও পর্যন্ত্য সমাধান সুত্র না বেরোলেও অন্তত ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে সন্তুষ্ট সকল পক্ষই এমনটাই জানা গেল আজ মঙ্গলবার স্কুলের ফি’ সংক্রান্ত বৈঠকের পর। এদিন দুর্গাপুরে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি(পুর্ব) স্বপন দত্তের দপ্তরে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ব্রততী দাসের উপস্থিতিতে স্কুল কর্তৃপক্ষদের তরফে প্রতিনিধি ও অভিভাবকদের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। তবে বৈঠকে সব দিক নিয়ে আলোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত্য চলতি মাসের দশ তারিখে আদালতের রায় ঘোষণা পর্যন্ত্য বিষয়টি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হল। তবে এদিনের বৈঠকে কোনো সমাধান সুত্র না মিললেও বৈঠক নিয়ে অভিভাবকরা সন্তুষ্ট এমনটাই জানালেন তাঁরা।
প্রসঙ্গতঃ দুর্গাপুরের বিভিন্ন বেসরকারী ইংরেজী মাধ্যম স্কুলগুলিতে টিউশন ফি’ ছাড়াও এমন কিছু বিষয়ে যেমন কম্পিউটার ফি’ ল্যাব্রটরি ফি সহ বেশ কিছু ফি ধার্য করা হয়েছে। কিন্তু অভিভাবকদের অভিযোগ যে, করোনা সংক্রমন এড়াতে রাজ্যে লকডাউন চলছে আর স্কুলগুলি সেই কারনে বন্ধ রয়েছে। অনলাইনে পরাশুনা চলছে। ফলে স্কুলে যাচ্ছে না কোনো পড়ুয়াই। তাহলে এই বিষয়ে কেন তাদের থেকে ফি’ চাওয়া হচ্ছে? যদিও সে বিষয়ে কর্নপাত করতে নারাজ স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেদের জায়গায় অনড়। এরই প্রতিবাদে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্কুলের সামনে প্রতিবাদে সামিল হন অভিভাবকরা। কিন্তু তাতে কোনো সমাধান না বেরোনোয় গত বৃহস্পতিবার ডিএভি মডেল স্কুলের সামনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত্য ধর্ণায় বসেন অভিভাবকরা। বিষয়টি জটিল আকার ধারন করায় স্কুলে পৌঁছন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ব্রততী দাস ও এসিপি স্বপন দত্ত। সেই সময় তাঁরা দুপক্ষের সাথে কথা বলে ৪ আগস্ট অর্থাৎ আজকের দিনে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকেন। সেই অনুযায়ী আজ বৈঠকটি হয়। তবে সব দিক বিবেচনা করে আগামী দশ তারিখ আদালতের রায়ের উপরেই সিদ্ধান্তের বিষয়টি ছাড়া হল বলে জানালেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ব্রততী দাস ও অভিভাবকদের প্রতিনিধি অভিজিৎ ভাদুরি।