ব্যারেজ বিপর্যয়ের সময় সরকারের বিলি করা জলের পাউচ মিলল সিটিসেন্টারের পথে, তদন্তের নির্দেশ
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২৯ডিসেম্বরঃ
চলতি বছরের অক্টোবর মাসের শেষে দুর্গাপুরে ব্যারেজের ৩১নং লকগেট ভেঙ্গে কার্যত জলশূণ্য হয়ে গেছিল শহর দুর্গাপুর। নানা টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে প্রায় দিন দশ বারো ধরে শহরের মানুষ উপলব্ধি করেছিল যে “জলের অপর নাম জীবন”। মাস দুয়েক হয়ে গেছে সেই ঘটনার। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে শহরের জল সরবরাহ। কিন্তু এখনও বোধহয় সেই জলের কষ্টের রেশ কাটেনি মানুষের মনের থেকে। এমতবস্থায় এই শহরেরই কিছু মানুষের ঘৃণ্য ও কদর্য কাজের রূপ এলো প্রকাশ্যে। সেই সময় শহরবাসীর জলের কষ্ট লাঘব করার জন্য প্রশাসনের তরফে নানারকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে একটি ছিল জলের পাউচ মানুষের ঘরে ঘরে বিনামূল্যে পৌঁছে দেওয়া, যাতে সামান্য হলেও জলের কষ্ট লাঘব করা যায়। দুর্গাপুরের ২২নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত সিটিসেন্টারের ননকোম্পানীতেও পাঠানো হয়েছিল সরকারী এই জলের পাউচ। কিন্তু গতকাল সোমবার ওই এলাকার মানুষের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় যখন দেখা যায় নন কোম্পানী হাউসিং সোসাইটির অফিসের পেছনে পড়ে রয়েছে সরকারী সেই জলের পাউচ, যা মানুষের সেই সময় জীবনদায়ী হিসেবে ব্যবহার করার জন্য বিলি করা হয়েছিল। তাও একটা দুটো নয় হাজারে হাজারে এরকম জলের পাউচ পড়ে রয়েছে। ব্যারেজ বিপর্যয়ের সময় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের তরফে জেলা প্রশাসনের অনুরোধে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ লক্ষ করে এরকম জলের পাউচ শিল্পাঞ্চলবাসীর মধ্যে বিলি করা হয়েছিল। এরকম হাজার হাজার পাউচ এসে পৌঁছোয় ওই এলাকাতেও। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে গুদামজাত করা হল অথচ সেই জল কেন বিলি করা হয়নি? এই ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছেন, আর এই ঘটনার পেছনে উদ্দেশ্য কি ছিল?
নন কোম্পানী হাউসিং সোসাইটির কার্যকরী সভাপতি পীযূষ মজুমদার বলছেন কে বা কারা এই কাজ করেছেন তিনি জানেন না। তবে যারা করেছেন তাঁরা অত্যন্ত অন্যায় কাজ করেছেন। পাউচ গুলো যদি বিলি না করতে পেরেছিল তো সেগুলো কেন সরকারের ঘরে আবার ফেরত পাঠানো হয়নি? তিনি এই ঘটনার যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মহকুমা শাসক অর্ঘ্যপ্রসূণ কাজী ঘটনার নিন্দা করে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।