বিজ্ঞানসম্মত মাস্ক, করোনা যুদ্ধে এবার হাতিয়ার দুর্গাপুরের সি.এম.ই.আর.আইয়ের
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ২২এপ্রিলঃ
করোনার সংক্রমণ এড়াতে বাড়ির বাইরে বেরোলে অবশ্যই দরকার মাস্ক পরার। করোনা মোকাবিলায় সব থেকে বড় হাতিয়ার হল মাস্ক। সেই হাতিয়ার যোগানের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেওয়া হল দুর্গাপুরের সি এম আই আর এর পক্ষ থেকে। ওই সংস্থার গবেষকরা দুই, তিন ও সম্পূর্ণ সিল্ড মাস্ক এই তিন ধরনের মাস্ক তৈরী করে ইতিমধ্যেই বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছেন। জানা গেছে, দুই ও তিন লেয়ারের মাস্ক ইতিমধ্যেই তৈরী হয়ে গেছে। বাকি সিল্ড মাস্ক আগামী পনেরো দিনের মধ্যেই তৈরী হয়ে যাবে।
ওই সংস্থার ডিরেক্টর ডঃ হরিশ হিরানী জানান যে, এই মাস্কগুলি সম্পূর্ন বিজ্ঞানসম্মত। আল্ট্রা ভায়োলেট চেম্বারে পরীক্ষা করে তারপর তা বাজারে আনা হয়েছে। এই মাস্কগুলো যাতে একাধিকবার ব্যবহার করা যায় সেদিকেও নজর রাখা হয়েছে। বাজারের চলতি মাস্ক বা সার্জিকাল মাস্কের তুলনায় এই মাস্কগুলো অনেক বেশী কার্যকরী বলেও দাবি করেছেন ডিরেক্টর ডঃ হিরানী।
সাংবাদিক ও পুলিশকর্মীদের জন্যেও সুখবর জানান ডঃ হরিশ হিরানী। তিনি বলেন সাংবাদিক কিংবা পুলিশকর্মীরা রীতিমতো প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পথে নেমে কাজ করছেন। তাই তাদের কথা মাথায় রেখে বিশেষ ধরনের মাক্স আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আনতে চলেছে সি এম ই আর আই এর গবেষকরা। জানা গেছে, দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা, মিশ্র ইস্পাত কারখানা, আসানসোল পৌরসভা থেকে এই তিন ধরনের মাস্কের জন্য তাদেরকে বরাত দেওয়া হয়েছে।