করোনার গ্রাসে শিল্পনগরী দুর্গাপুরে মন খারাপের এ বছর ব্রাত্য দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১৭সেপ্টেম্বরঃ
শিল্পনগরী দুর্গাপুর, আর শিল্পের দেবতা বিশ্বকর্মা। তাই কারখানা ভিত্তিক এই শহরে বিশ্বকর্মা আরাধ্য দেবতা দুর্গাপুরের শ্রমিক মহলের কাছে। তাই প্রতি বছর অধীর আগ্রহে অপেক্ষা কবে এই দিনটি আসবে আর তাঁরা দেবশিল্পীর আরাধনায় ব্রতী হবেন। যার জন্য বিশ্বকর্মা পুজোর দিনটি আসার বেশ কিছুদিন আগে থেকেই শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন কারখানায় বেশ একটা সাজো সাজো রব পরে যায়। আর শ্রমিকদের এই উৎসাহে উৎসাহী হন এই পুজোর সাথে সম্পর্কিত আরো বহু মানুষজন। কারন এই পুজো দিয়েই মূলতঃ বাংলার মূল উৎসবের সূচনা হয় আর এই উৎসবের কারনে দুটো বাড়তি রোজগারের মুখ দেখেন অনেকেই। যেমন, মৃৎশিল্পী থেকে শুরু করে ঢাকী, কিংবা মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে কাঁচা সব্জি কিংবা ফল বা দশকর্মা ব্যবসায়ী সহ আরো অনেকে। কিন্তু ব্যাতিক্রমী এই বছর করোনার আক্রমনে রক্তাক্ত হয়েছে শিল্পনগর। ঘরবন্দী মানুষজন কড়জোড়ে প্রার্থণা করছে শাপমুক্ত হোক এই পৃথিবী। করোনা দুরত্ব তৈরী করেছে শ্রমিকের সাথে শ্রমিকের। তাই তো আজ কারখানাতেও ব্রাত্য বিশ্বকর্মা। আর তাই দেবশিল্পীর সাথে সাথে কারখানাগুলিতে ব্রাত্য হয়েছেন ঢাক শিল্পীরা, ব্রাত্য হয়েছে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের রাত জেগে প্যাকিং করা মিষ্টির বাক্সও। কোথাও হয়ত নমো নমো করে ঘটে, পটে বা ছোট মূর্তিতে পুজোর সাড়লেন কারখানার শ্রমিকরা। প্রতিবছর যেখানে এই পুজোকে কেন্দ্র করে খাওয়া দাওয়ার এলাহি ব্যবস্থা থাকত, সেখানে বন্ধ সব কারন প্রবেশাধিকার পাননি রাঁধুনী। শ্রমিকদের তাই একটাই চিন্তা করোনার গ্রাস থেকে কি বিশ্বকর্মা পারবে এই শিল্পনগরীকে বাঁচাতে? তাই বলতে গেলে একপ্রকার মন খারাপের মধ্যে দিয়ে গেল এবারের ব্যাতিক্রমী বছরের বিশ্বকর্মা পুজো।