হোর্ডিংয়ের উপর চাপানো হয়েছে হোর্ডিং, অভিযোগে তৃণমূল কর্মীদের মারামারি
আমার কথা, অন্ডাল, ২৯ জুলাই:
হোডিং এর উপর হোডিং দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারপিট, দ্বন্দ্ব। শনিবার অন্ডালের সাউথ বাজারের ঘটনা। তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি দলের জেলা যুব সভাপতির।
পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই অন্ডাল ব্লকে প্রকাশ্যে এলো তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বচসা মারপিটে জড়ালো ব্লক সভাপতি ও এক কাউন্সিলর এর সমর্থকেরা। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে অন্ডালের দক্ষিণ বাজার এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় সাউথ বাজারে একটি দোকানের সামনে তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর হোডিং এর উপরে অপর গোষ্ঠীর হোডিং লাগানো নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। খবর পেয়ে দুই নেতার সমর্থকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে প্রথমে বচসা তারপর মারপিটে জড়ায় দুই পক্ষই। আহত হন দীপক সাউ নামে দলের এক সমর্থক। দীপক সাউ এলাকায় দলের ব্লক সভাপতি কালোবরন মণ্ডলের অনুগামী হিসেবে পরিচিত। তিনি জানান পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারের সময় তার দোকানের সামনে দলের ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদের প্রার্থী কালোবরণ মন্ডলের সমর্থনে হোডিং লাগানো ছিল। এদিন সকালে রানীগঞ্জে থেকে জেতা আসানসোল কর্পোরেশনের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা অন্ডালের বাসিন্দা রূপেশ যাদবের অনুগামীরা সেই হোডিং নামিয়ে সেখানে অন্য একটি হোডিং লাগিয়ে দেয়। ঘটনার প্রতিবাদ করায় কাউন্সিলর এর অনুগামীরা তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ করেন দীপক সাউ। অন্যদিকে রূপেশ যাদবের অনুগামী রাধাকৃষ্ণ যাদব পাল্টা অভিযোগ করে বলেন ব্লক সভাপতির অনুগামীদের হাতে তিনি নিগৃহীত হয়েছেন। ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে তার গলায় থাকা সোনার হারও।
আহত দীপক সাউ রুপেশ যাদবের অনুগামী রাধা কৃষ্ণ যাদব, রামা যাদব, দিলীপ মাঝি সহ আরও কয়েক জনের নামে অন্ডাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনা প্রসঙ্গে ব্লক সভাপতি কালবরন মন্ডল ও কাউন্সিলর রুপেশ যাদবের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি কৌশিক মন্ডল জানান ঘটনাস্থলে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। পুলিশকে অনুরোধ করবো সিসিটিভির ফুটেজ দেখে দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে। ঘটনার পর এলাকায় তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। নতুন করে অশান্তি যাতে না বাঁধে সেই জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সাথে নিয়ে এলাকায় রুট মার্চ করে অন্ডাল থানার পুলিশ।