“তৃণমূল করতে হলে ছোটলোক হতে হয়”, দুর্গাপুরে কীর্তিকে আক্রমণ দিলীপের
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১ এপ্রিলঃ
“তৃণমূল এত নিচে নামছে যে বলার কিছু নেই। এখানের প্রার্থী তেরো সমুদ্র পার থেকে এসেছেন। তিনি বুঝেছেন তৃণমূল করতে হলে ছোটলোক হতে হবে, তিনিও সেই ব্যবহারই করছেন। পরিনাম কি হল? দলের লোকেরা এমন তাড়া করলো মন্দিরে গিয়ে লুকোতে হল। এই জন্য বলে বেশি বাড় বেরো না।”সোমবার সকালে দুর্গাপুরের বিধাননগরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদকে এভাবেই আক্রমণ করলেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। রবিবার আমরাই এলাকায় তৃণ্মুলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মাঝে পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রার্থী।
গতকাল কৃষ্ণনগরে সভা থেকে মমতা ব্যানার্জি বলেন বিজেপি এবার গো-হারা হারবে। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “বিজেপির উদ্দেশ্যে উনি যত বিজেপির বিরুদ্ধে বলবেন, তত বিজেপির সিট বাড়বে। গতবারে উনি বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশে পাবেন বলে ভবিষ্যত বানী করলেন আর ৪২ থেকে ৩৪ এ নামলেন। এবারে আরো ১২টা নামবে। দেখবেন ডায়লগ বন্ধ হয়ে যাবে”। কৃষ্ণনগরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন এখন ইডি সিবিআই ডাকলে যাওয়ার দরকার নেই। তা নিয়ে দিলীপবাবু বলেন, “না গেলে কি হয় পার্থ আর কেষ্টকে জিজ্ঞেস করুন। দিল্লির মাসতুতো ভাইয়ের কি অবস্থা হয়েছে দেখুন। ইডি সিবিআইয়ের সাথে পাঙ্গা নেবেন না”। এদিন তিনি এই কেন্দ্রের বাম প্রার্থী সুকৃতি ঘোষালকেও এক হাত নেন। প্রচারে বেরিয়ে এই বাম প্রার্থী বলেছিলেন, রাজ্যে রাজনীতি অনেক নিচে নেমে গেছে। শাসক-বিরোধী যে ভাষায় কথা বলে এরপর কেউ আর রাজনীতিতে আসতে চাইবেন না।“। সেই প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, “বাম প্রার্থী ভদ্রলোক। কিন্তু ওনার দলের বর্ষিয়ান নেতাদের দেখুন। কি ভাষা বলতেন। বর্ধমানে মাটি খুঁড়লে কয়লা বেরোয় আর মেদিনীপুরে মাটি খুঁড়লে হাড়গোড় বেরোয়। এগুলো কাদের সৌজন্যে হয়েছে? এখন ভদ্র হয়ে গেছেন?”