দুর্গাপুরে রিজার্ভারে কাজ করতে নেমে বিষাক্ত গ্যাসে মৃত্যু দুই মিস্ত্রির
আমার কথা, দুর্গাপুর, ৩১ জুলাইঃ
সদ্য নির্মিত জলের রিজার্ভারের কাঠামোর পাটা খুলতে নেমে বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল দুই শ্রমিকের। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরো একিওজন। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের বিধাননগর পার্ক এভিনিউ এলাকাতে।
দুর্গাপুরের বিধান নগর পার্ক এভিনিউ এলাকায় একটি বাড়িতে সদ্য নির্মিত জলের রিজার্ভারের কাঠামোর পাটাতন খুলতে নেমে বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল হুমায়ুন শেখ (৫০) ও বাবলু শেখ(২৭) নামে দুই শ্রমিকের। রিজার্ভারের ভেতর নামার পর বিষাক্ত গ্যাসের কারণে তারা অজ্ঞান হয়ে যান। তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুরের বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকরা দুই শ্রমিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পার্ক এভিনিউতে যে আবাসনে ঘটনাটি ঘটে সেই আবাসনের প্রতিবেশী কাঞ্চন নায়ক জানান যে বাড়িতে জলের রিজার্ভার নির্মাণের কাজ হচ্ছিল সেই বাড়িটির মালিক সঞ্জিত চ্যাটার্জী বছর তিনেক আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার পরিবার থাকে বাইরে। বাড়ির মধ্যে থাকা জলের রিজার্ভারটি লিক হওয়ার কারণে পরিবারের সদস্যরা একটি নতুন রিজার্ভার নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কয়েকদিন আগে রিজার্ভারটির ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়। বুধবার কাঠামোর পাটাতন খুলতে আসেন রাজমিস্ত্রি হুমায়ুন শেখ। তারই অধীনে কাজ করতেন বাবলু শেখ সহ কয়েকজন শ্রমিক। প্রথমে বাবলু রিজার্ভারের ভেতর নামার কিছুক্ষণের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তা দেখে রিজার্ভারে নামে হুমায়ুন শেখ। তিনিও অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও দমকলকে। দমকল কর্মীরা রিজার্ভার এর ভেতর থেকে অসুস্থ দুজনকে উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য পুলিশ তাদের বিধান নগরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাইয়। সেখানেই দু’জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। রিজার্ভারে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস ছিল, সেই গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান চিকিৎসকদের। হুমায়ুন শেখ মুর্শিদাবাদের সুতি থানা এলাকার ও বাবলু শেখ মালদহের বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।