পান্ডবেশ্বরে তৃনমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, গ্রেফতার ৬, রাতভর ধর্ণায় ব্লক সভাপতি
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(পান্ডবেশ্বর), ৩ডিসেম্বরঃ
দলীয় দপ্তরের দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে ফের তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এল পাণ্ডবেশ্বরে। ঘটনায় জড়িত ছ’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে নবগ্রাম পঞ্চায়েতের জোয়ালভাঙ্গা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে জোয়ালভাঙ্গা এলাকায় তৃণমূলের দুটি কার্যালয় রয়েছে। একটি বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির অপরটি ব্লক সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর অনুগামীদের। বুধবার সন্ধ্যায় বিধায়ক অনুগামী অসীম মন্ডল দলবল নিয়ে ব্লক সভাপতর নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর অনুগামী প্রদীপ মণ্ডলের কার্যালয়টি দখল করতে আসে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘিরে দুই দলের অনুগামীদের মধ্যে প্রথমে বচসা বাধে তারপর সেই বচসা থেকে উত্তজনা ছড়ায়।
স্থানীয় একটি কয়লার প্যাচে কোন গোষ্ঠীর লোক নিয়োগ করা হবে সেই নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব বলে স্থানীয়দের দাবি। পুলিশ গতকাল রাতেই নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী অনুগামী প্রদীপ মণ্ডল সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। অনুগামীদের গ্রেফতারের খবর পেয়ে রাতেই পাণ্ডবেশ্বর থানায় ধর্ণায় বসেন তৃণমূল ব্লক সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও তার অনুগামীরা। ভোর ৫ টা পযন্ত তারা সেখানেই ছিলেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে নরেন্দ্রনাথবাবু জানান কয়লার প্যাচে স্থানীয়দের নিয়োগ করার দাবি তারা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন। কিন্তু বিধায়কের অনুগামীরা টাকার বিনিময়ে বহিরাগতদের নিয়োগ করছে বলে অভিযোগ করেন নরেন্দ্রনাথবাবু। পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করছে। স্থানীয়দের নিয়োগ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পাশাপাশি বিষয়টি দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে জানানোরও হুমকি দেন তিনি।
ঘটনা প্রসঙ্গে বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। কেউ অনৈতিক কিছু করে থাকলে দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।