লকডাউনে বেড়েছে বাল্যবিবাহ, এমনই মারাত্মক তথ্য দিলো রাজ্য চাইল্ড রাইট কমিশন
আমার কথা, পশ্চিম মেদিনীপু, ২৪আগস্টঃ
লকডাউনে বেড়েছে বাল্যবিবাহ, এরকমই তথ্য দিল রাজ্য চাইল্ড রাইট কমিশন। রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের তিন সদস্য মেদিনীপুর জেলার পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে হাজির হন সার্কিট হাউসে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনার অনন্যা চক্রবর্ত্তী, সুদেষ্ণা রায় ও শেখর ভট্টাচার্য। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসনের আধিকারিক এবং অতিরিক্ত জেলাশাসক ও অন্যান্য আধিকারিকরা।
বলা যায় যে এই কোরোনা সংক্রমণ এবং তার জেরে লকডাউন। এই লক ডাউনে শুধু ব্যবসা-বাণিজ্যকে ধাক্কা দেয়নি ধাক্কা দিয়েছে বাল্য বিবাহের ক্ষেত্রেও। আধিকারিকদের দাবি, এই লকডাউনের জেরে প্রচুর পরিবার যারা আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়েছে তারা নিজেদের আর্থিক দিক পিছিয়ে পড়ায় বাল্যবিবাহ দিতে অগ্রণী ভুমিকা নিয়েছে তাই এক্ষেত্রে এই লকডাউন এর সময় জেলা এবং রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে বাল্য বিবাহ হয়েছে। এরকমই তথ্য দিলেন রাজ্য কমিশনার।
এদিন কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, “আমরা এই বৈঠকে মূলত হাজির হয়েছিলাম এই বাল্যবিবাহ ঘটনার উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করতে। আমরা খতিয়ে দেখেছি পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষেত্রেও প্রচুর পরিমাণে বাল্যবিবাহ হয়েছে। যদিও আমরা একশ শতাংশের মধ্যে পঁচানব্বই শতাংশ আটকাতে পেরেছি আর পাঁচ শতাংশ পারিনি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে আমরা যাওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আমরা আটকাতে পারিনি তা বলবো না, আমরা আটকানোর চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু আমরা যখন খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছি ততক্ষণে বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাই আমরা এইসব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এই জরুরি বৈঠকে হাজির হয়েছি এবং জেলার সমস্ত আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছি।”