ইস্তফার পর চন্দ্রশেখরের বার্তা “দেখা হবে ১৯সে ডিসেম্বর”-যোগ দিচ্ছেন বিজপিতে?

আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ১৭ডিসেম্বরঃ
“দেখা হবে ১৯সে ডিসেম্বর” এই বার্তা দিয়েই সম্ভবতঃ নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলার সদ্য প্রাক্তন সাধারন সম্পাদক তথা দুর্গাপুর নগর নিগমের সদ্য প্রাক্তন ৪নং বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দোপাধ্যায়, আর এই অধ্যায়ের সূচনা হল আজ তাঁর সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার মধ্যে দিয়ে। গতকাল বুধবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এরপর রাতে কাঁকসায় সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন শুভেন্দু আর সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রশেখর। এরপরেই রাত ভোর হতেই তাঁর তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেওয়াটাকে শুভেন্দুর পদাঙ্ক অনুসরন করা হছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে এটা যে হওয়ার ছিল তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই শিল্পাঞ্চল রাজনীতিতে জল্পনা চলছিল কারন চন্দ্রশেখর রাজনৈতিক মহলে দাদার অনুগামী বলেই পরিচিত। আর এই জল্পনাকেই এদিন সত্যি হতে দেখলেন শিল্পাঞ্চলবাসী।
আগামী ১৯ ডিসেম্বর বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী আর আজ সাংবাদিক বৈঠকে চন্দ্রসেখরের মুখে “দেখা হবে ১৯শে ডিসেম্বর” বার্তা কি তাহলে তাঁরও বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনারই ইঙ্গিত দিচ্ছে? অবশ্য তার জন্য ১৯ তারিখ পর্যন্ত্য অপেক্ষা করতে হবে।
চন্দ্রশেখর বন্দোপাধ্যায়ের এই পদত্যাগের কারন কি?
তাঁর পদত্যাগের কারন হিসেবে তিনি দায়ী করছেন দুজনকে। একজন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও তৃণমূলের পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরকে।
তা এনাদের দোষ কি?
চন্দ্রশেখর জানান যে, কলকাতায় বসে ফিরহাদ হাকিম পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন, আর কি জামা পড়বেন চন্দ্রশেখর থেকে শুরু করে দলের বিক্ষুব্ধ নেতারা তা ঠিক করে দিচ্ছে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের আই প্যাক, যা মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না প্রাক্তন বোরোচেয়ারম্যানের পক্ষে। তাই বাধ্য হয় তিনি পদত্যাগ করলেন।
তবে শুধু তাই নয়, চন্দ্রশেখর এও বলেন যে সব ব্যাপারে এমনকি ব্লক সভাপতি হতে গেলে সব কিছুতেই চলছে টাকার খেলা আর এই অন্যায়ের সাথে কোনোভাবেই আপস করা সম্ভব হচ্ছে না তাঁর পক্ষে। তাই সম্মানের সাথে ছেরে বেরিয়ে যাওয়াটাই ভাল বলে জানান তিনি।
এদিন সিটিসেন্টারে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি নিজের ইস্তফার বিষয়টি ঘোষণা করে মিষ্টিমুখ করানো হয় সবাইকে। মিষ্টিমুখের পালা শেষ হলে তিনি সকলের উদ্দেশ্যে এই বার্তাই দেন যে, “দাদা যে পথে হাঁটবেন, সেই পথেই হাঁটব আমি। মানুষের পাশে থেকে কাজ করার চেয়ে বড় প্তাপ্তি আর কিছু নেই।”