নির্বাচনের প্রাক্কালে কাজের রিপোর্ট পেশ করলেন বিদায়ী সাংসদ আহলুওয়ালিয়া
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১৫ এপ্রিলঃ
সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কাজের রিপোর্ট কার্ড পেশ করলেন বিদায়ী সংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া । সেই সাথে সরব হলেন রাজ্য প্রশাসনের অসহযোগিতা ও পঞ্চায়েত প্রধানদের সাথে বিডিওদের অশুভ আঁতাত নিয়েন।
বিদায়ী বিজেপি সাংসদ এস এস আলুওলিয়াকে নিজের কেন্দ্র বর্ধমান দুর্গাপুর আসনে প্রার্থী না করে এবার দল তাকে প্রার্থী করেছে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে। সাংসদ থাকাকালীন একাধিকবার বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় তার বিরুদ্ধে নিখোঁজ সাংসদ লেখা পোস্টার পড়েছিল। সাংসদ থাকাকালীন এলাকার উন্নয়নে তিনি কোন কাজ করেননি বলে অভিযোগে সরব হয়েছিল বিরোধীর। প্রার্থী হিসাবে তার নাম ঘোষণার পর আসানসোলে এসেই প্রথম দিন তিনি জানিয়ে ছিলেন সাংসদ হিসেবে তিনি কি কি কাজ করেছেন তার রিপোর্ট কার্ড পেশ করবে। সোমবার দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি রিপোর্ট কার্ড পেশ করেন এদিন। তিনি দাবি করেন পাঁচ বছরে এলাকার উন্নয়নে সাংসদ কোটা থেকে তিনি ১৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন ২৯৪ টি প্রকল্পে। সেই সাথে প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদ সাইদুল হকের এক কোটি ২৩ লক্ষ্য ৮৯ হাজার টাকা ও তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মমতাজ সংগ্রমিতার ২ কোটি ৯৮ লক্ষ ৮০ হাজার টাকাও তিনি খরচ করেছেন বলে দাবি করেন। প্রান্তিক এলাকায় শ্মশানে চুল্লি, হাইমাস্ট লাইট যেমন লাগানো হয়েছে তেমনি অন্যান্য প্রকল্পেও সাংসদ কোটার টাকা খরচ করা হয়েছে । আলুওয়ালিয়া জানান করোনার সময় আইসোলেশন সেন্টার করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তিনি টাকা দিয়েছেন।
তিনি জানান দুর্গাপুর স্টিল প্লান্ট কারখানার সম্প্রসারণের অনুমোদন, অ্যালয় স্টিলের বিলগ্নীকরণ আটকে আধুনিককরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুর্গাপুর ভ্যালি কর্পোরেশনের দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে সুপার ক্রিটিক্যাল পাওয়ার ইউনিট প্রতিস্থাপনের জন্য অনুমোদন করা হয়েছে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা। খরচের খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি আলুওয়ালিয়া সরব হন উন্নয়নের প্রশ্নে রাজ্য প্রশাসনের অসহযোগিতা ও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের সাথে বিডিওদের অশুভ আঁতাত নিয়ে। বলেন অসহযোগিতা ও অশুভ আঁতাতের কারনে অনেক কাজ আটকে গেছে । পূর্ণ সহযোগিতা পেলে আরও কাজ করা সম্ভব হতো বলে জানান তিনি।