বন্ধুর মেয়েকে কুপ্রস্তাব, পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি, দুর্গাপুরে গ্রেপ্তার প্রৌঢ়
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২২ এপ্রিলঃ
বাবার দীর্ঘদিনের বন্ধু আর সেই সূত্রে ঘরে নিয়মিত আসা যাওয়া, আর বাবার সেই বন্ধুকে কাকুর মতো করে বিশ্বাস করে কাল হলো দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত ডিপিএল টাউনশিপের বাসিন্দা এক নাবালিকার।সপ্তম শ্রেণীর ঐ ছাত্রী এখন রীতিমতো আতঙ্কে ঐ কাকুর মানসিক নির্যাতনে। মানসিক যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে মাঝে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিল সে, কিন্তু বাবা মায়ের চোখে পড়ে যাওয়ায় সে যাত্রায় কোনোক্রমে রক্ষা পায় দুর্গাপুরের সপ্তম শ্রেণীর ঐ ছাত্রী। বেশ কয়েক বছর আগে দুর্গাপুরের নডিহার শ্মশান কালী মন্দিরের বাসিন্দা মানস পাল ঐ নাবালিকার বাবার বন্ধুর সূত্রে ডিপিএল টাউনশিপের বাসিন্দা ঐ নাবালিকার বাড়িতে এসেছিল। তখনই একপ্রকার পারিবারিক সম্পর্ক তৈরী হয় দুই পরিবারের। মাঝে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু মাস ছয়েক হলো ফের ছুতো নিয়ে ঐ নাবালিকার বাড়িতে আসে মানস পাল। অভিযোগ, এরপর থেকেই ফোনে ওই নাবালিকাকে নানাভাবে অশালীন কথাবার্তা বলতে থাকে মানস পাল। অন লাইন ক্লাসের জন্য যেহেতু ঐ নাবালিকা মায়ের স্মার্ট ফোনটি ব্যবহার করতো সেই সূত্র ধরে হোয়াটস-অ্যাপে নানারকম কুরুচিকর মন্তব্য মানস পাল সপ্তম শ্রেণীর ঐ ছাত্রীকে লিখে পাঠাতো বলেও অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়েও করতে চায় বছর পঞ্চান্নর মানস পাল এমনটাই অভিযোগ ঐ নাবালিকা ও তার পরিবারের। হোয়াটস-অ্যাপে কনভার্সেশন যদি কাউকে বলে দেয় বা পুলিশকে দেখানো হয়,তাহলে ঐ নাবালিকাকে অপহরণ করে নেওয়ার পাশাপাশি গোটা পরিবারকে খুন করা হবে বলেও হুমকি দেয় মানস পাল বলেও অভিযোগ। এমনকি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এ সবকিছু ভাইরাল করে দেওয়া হবে বলেও ওঐ নাবালিকাকে হুমকি দেয় অভিযুক্ত মানস পাল। শুধু মানস পাল নয়, এর সাথে কৌশিক নামে একজন সহ আরো বেশ কয়েকজন জড়িত বলে ঐ নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ। স্থানীয় কোকওভেন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশ মানস পাল নামে ঐ ব্যাক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। দুর্গাপুরের ডিপিএল টাউনশিপের বাসিন্দা সপ্তম শ্রেণীর ঐ ছাত্রী ও তার পরিবারের অভিযোগ, থানায় লিখিত অভিযোগ করতে যাওয়ার সময় কোনোভাবে খবর পেয়ে তাদেরকে ফের ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় টানটান উত্তেজনা এখন শহর দুর্গাপুরে।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মানস পালের পরিবারের। নাবালিকার পরিবারের সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল পরে মেয়েকে সামনে রেখে তার মা এ ধরনের কাজ করছে বলে পাল্টা অভিযোগ মানসের পরিবারের।
কোক ওভেন থানার পুলিশ ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতে চেয়ে আজ দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে অভিযুক্তকে পেশ করে ।