দুর্গাপুর নগর নিগমের স্বাস্থ্য কর্মীকে দিয়ে শুরু হল করোনার টিকাকরন
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১৬জানুয়ারীঃ
বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে এলো সেই দিন। সারা বিশ্ব জুড়ে যে মারন ব্যাধিতে জর্জরিত মানব সমাজ, সেই মারনব্যাধির হাত থেকে বাঁচতে তৈরি করা হয়েহে প্রতিষেধক টিকা। আজ থেকে সেই টিকাকরন শুরু হল। দুর্গাপুরের সিটিসেন্টারের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে এই টিকাকরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় টিকাকরন। প্রথম যে ব্যাক্তিকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হল তার নাম সেখ আনসার আলি। তিনি দুর্গাপুর নগর নিগমের স্বাস্থ্যবিভাগের একজন কর্মী।
প্রথম দিনের টিকাকরনের বিষয়ে ডেপুটি সিএমওএইচ ডাঃ কেকা মুখোপাধ্যায় জানান, আজ দুর্গাপুর পুরসভার পক্ষ থেকে প্রথম সেখ আনসারি আলি যিনি একজন স্বাস্থ্যকর্মী, তাঁকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হল। ডাঃ সাহানা যিনি হেলথ অফিসার তিনি নিজে আজ উপস্থিত আছেন। তাঁর উপস্থিতিতেই এই টিকাকরন শুরু হল। সেখ আনসার আলিকে সমস্ত রকমের ব্যবস্থার মধ্যে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। যদি কোনোরকম অসুবিধা হয়, কিংবা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় তাহলে তাঁকে সাথে সাথে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে।
করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর সেখ আনসার আলি জানান, তিনি এই ভ্যাকসিন নিয়ে খুবই খুশি। শরীরে কোনো রকম অসুবিধা বোধ করছেন না তিনি। সরকারের এই উদ্যোগকে তিনি সাধুবাদ জানান।
প্রসঙ্গতঃ বৃহস্পতিবার জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে দুর্গাপুর নগর নিগমে এসে পৌঁছেছিল ১০০টি করোনার ভ্যাকসিন। প্রথম পর্যায়ে যারা প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা তাদেরই এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে দুর্গাপুর নগর নিগরম সুত্রে জানা গিয়েছে। তবে দুর্গাপুর পৌরসভা এলাকায় মোট ২০০০ জনের নাম তালিকাবদ্ধ করা হয়েছে যাদের ধাপে ধাপে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।