সাধারন মানুষের আরো কাছে পৌঁছোতে জোরদারভাবে চলছে “দুয়ারে প্রশাসন” কর্মসূচী
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(কাঁকসা,লাউদোহা ), ১ডিসেম্বরঃ
মাস দুয়েক হল রাজ্য সরকারের পক্ষ “দুয়ারে প্রশাসন” নামে একটি কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে, যে কর্মসূচীর লাভ পাবেন সাধারন মানুষ। এই কর্মসূচীর মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের হয়রানি রুখতে প্রশাসন এবার সরাসরি মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। অর্থাৎ পূর্বে যে কোনো সরকারী সুবিধা পেতে সাধারন মানুষকে বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে যেতে হতো আর তাতে বেশ হয়রানির মুখেও পড়তে হতো। তাই মানুষজনের সে সমস্ত হয়রানির অবসানের জন্য এবার বিভিন্ন প্রসাসনিক দপ্তরগুলিকে এক ছাদের তলায় নিয়ে আসা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার কাঁকসার ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েত “দুয়ারে প্রশাসন” এ উপস্থিত সাধারন মানুষজন সরকারের এই কর্মসূচীর সুবিধা ঠিক মতো পাচ্ছেন কি না, তাদের নানা সুবিধা অসুবিধার বিষয়গুলি সরাসরি শুনতে উপস্থিত হয়েছিলে জেলাশাসক পূর্ণেন্সু মাজি। তবে এদিন ওই পঞ্চায়েতে কর্মসূচীতে উপস্থিত উপভোক্তাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। স্বাস্থ্যবিধির নিয়ম মানতে দেখা গেল না আগত কোনো মানুষকেই, যদিও এ বিষয়ে জেলাশাসক বলেন যে আজ একটু ভিড় বেশিই হয়ে গেছে, আগামীকাল থেকে বিষয়টির দিকে খেয়াল রাখা হবে। পাশাপাশি এদিন তিনি উপভোক্তাদের হাতে হাতে ফর্ম দিয়ে ভিড় কমানোর চেষ্টা করেন। এদিনের শিবিরে জেলাশাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাঁকসা বিডিও সুদীপ্ত ভট্টাচার্য্যও।
অপরদিকে, বিভিন্ন সরকারী পরিষেবা দিতে লাউদোহায় আয়োজিত হল ”দুয়ারে প্রশাসন” কর্মসূচী। মঙ্গলবার এই কর্মসূচীর শিবিরটির আয়োজন করা হয় লাউদোহা পঞ্চায়েতের পুরনো ঝাঁঝরা কলোনি মাঠে। উপস্থিত ছিলেন বিডিও দেবজিৎ দত্ত সহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রশাসনিক আধিকারিকরা। দেবজিত বাবু জানান এতদিন সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা ও শংসাপত্র পেতে বাসিন্দাদের যেতে হতো বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে। কারা কি সুবিধার অধিকারী, কিভাবে ফর্ম ভরতে হয় এসব সঠিকভাবে না জানার ফলে সমস্যায় পড়তে না অনেককেই। তাই কেউ যাতে এরকম সমস্যায় না পড়েন সেই জন্য সম্প্রতি রাজ্য সরকার “দুয়ারে প্রশাসন” নামে কর্মসূচীটি চালু করেছে বলে জানান দেবজিতবাবু। এদিনের কর্মসূচীতে জাতিগত শংসাপত্র, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, আধার ও রেশন কার্ডের মত পরিষেবাগুলি এলাকার মানুষ হাতে হাতে পান শিবির থেকে।