দুর্ঘটনায় মৃত্যু দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্মীর, ক্ষতিপূরণের দাবিতে সোচ্চার সিটু
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২৩ডিসেম্বরঃ
লকডাউনের সময় থেকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্মীদের জন্য বাস পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। যার দরুন তখন থেকেই যারা কারখানার বাসে যাতায়াত করতেন তাঁরা নিজস্ব যানবাহনে কারখানায় যাতায়াত করছেন। এরকমই এক ইস্পাত কর্মী প্রদীপ কুমার রায়(৫৩) দুর্গাপুরের আঢ়রার বাসিন্দা ছিলেন। কোক ওভেন বিভাগের কোক হ্যান্ডেলিং প্ল্যান্টে কর্মরত ছিলেন। তিনি বাসের পাস নিয়ে লকডাউনের আগে পর্যন্ত্য কারখানায় ডিউটিতে যাওয়া আসা করতেন। গতকাল মঙ্গলবার নিজের বাইকে করে বি-সিফটের ডিউটি যাওয়ার পথে আনুমানিক দুপুর ১ টা ৩০ নাগাদ পিয়ালা কালীমন্দিরের আগে সার্ভিস রোড থেকে বের হওয়ার পরেই জাতীয় সড়কের উপর একটি কয়লা বোঝাই ট্রাকের সাথে ধাক্কা লাগে। তৎক্ষণাৎ ওই ইস্পাত কর্মীকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে জানান।
বিষয়টি জানার পরেই উত্তেজনা ছড়ায় অন্যান্য ইস্পাত কর্মীদের মধ্যে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ বুধবার সিটুর পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয় মৃত ওই কর্মীর বিভাগে। সিটুর পক্ষ থেকে জানানো হয়, যে জায়গায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে প্রায় সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। তাই দুর্ঘটনা আটকাতে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হোক। পাশাপাশি যেহেতু ডিউটিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় ওই ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে সেই হিসেবে কারখানার নিয়ম অনুযায়ী মৃতের পরিবারের একজনের চাকরী আর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পাশাপাশি পুনরায় কারখানার বাস পরিষেবা চালু করারও দাবি জানানো হয় সিটুর পক্ষ থেকে।
সিটুর পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রদীপবাবুর পরিবারে স্ত্রী ও দুই ছেলে মেয়ে রয়েছেন। প্রদীপবাবুই ছিলেন ওই পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী।